জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রাম আদালতে বিচারের নামে ডেকে এনে তিন ব্যক্তিকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার কীত্তিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- একই ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের শাজাহান আলী ভুট্টু (৩৮), জাহিদুল ইসলাম নারু (৫৫) ও ফিরোজ হোসেন (২৭)।
জানা গেছে, মাগুরা গ্রামের শাজাহান আলী ভুট্টু ও মোহাম্মাদ আলী শাহের ছেলে হাসুসহ পাঁচজনের মালিকানায় একটি পুকুর রয়েছে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে জোরপূর্বক শ্যালো মেশিন বসিয়ে পুকুর থেকে পানি তুলছিলেন হাসু। এ সময় শাজাহান আলীর স্ত্রী শাহনাজ বাধা দেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাসু লাঠি দিয়ে শাহনাজকে আঘাত করলে বিষয়টি তিনি স্বামীকে অবগত করে। পরে শাজাহান আলী ঘটনাস্থলে এলে আবারো উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শাজাহান আলীর বাড়িতে হামলা চালায় হাসু। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ওইদিন বিকেলে শ্যালো মেশিনের মালিক রাসেলের বাবা আদেশ আলী বাদী হয়ে গ্রাম আদালতে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি থেকে গ্রাম আদালতে শাজাহান আলী ভুট্টু, জাহিদুল ইসলাম নারু, ফিরোজ হোসেন ও সাত্তারের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় তাদের ইউপিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
নোটিশ অনুযায়ী আহতরা নির্দিষ্ট সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে তাদেরকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান কোনো কথা ছাড়াই একে একে ঘর থেকে বের করে লাঠি দিয়ে মারপিট জোরপূর্বক তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। আহতরা নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শাজাহান আলী ভুট্ট, জাহিদুল ইসলাম নারু ও ফিরোজ হোসেন বলেন, গ্রাম আদালতে বিচারের নামে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে চেয়ারম্যান কোনো কথা ছাড়াই আমাদের লাঠিপেটা করেছে। আমরা চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করছি।
চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান মারপিটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যাদেরকে মারপিট করা হয়েছে তারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আইনে যদিও মারপিট করার বিধান নেই। কিন্তু তাদেরকে মারপিট করা আমার দৃষ্টিতে ঠিক হয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, বিচারের নামে কাউকে মারপিট করার এখতিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের নেই। গ্রাম আদালতে চেয়ারম্যানদের নির্দিষ্ট কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনের তিনি নোটিশ ও জরিমানা করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।