নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-১৮ আসনের (উত্তরা) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাডভোকেট ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি।
ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। তিনি জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ জুলাই রাতে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।
এই আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দুই বার সদস্য ছিলেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।মারা গেছেন ভেবে প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জীবিত আছে বুঝতে পেরে তাকে মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সুস্থ হলে কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন আটকে রাখে পুলিশ।
মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর পেশাজীবী হিসেবেও দলের পক্ষে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। অসংখ্য বার রাজনৈতিক কারণে আহত, গ্রেপ্তার ও ডিটেনশনে নির্যাতিত হয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজপথের প্রতিটি মিছিলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০২ সালে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের এডিসি কোহিনূরের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিজে বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন।
২০০২ সালের ১০ ডিসেম্বর তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলায় ডিটেনশন দিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইনে বোমা হামলার মামলা দেওয়া।
১/১১-এর কঠিন সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনা গ্রেফতারের দিন থেকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভের মুহূর্ত পর্যন্ত মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী সক্রিয়ভাবে রাজপথে ও আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। আইনজীবী পেশাজীবীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য বিবৃতি প্রদান করেন। বিশেষ আদালতে প্রতিদিন উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এম এ আজিজকে অপসারণের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।