স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দলই ছিল মরিয়া। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল সিরিজ জয়, আর ভারতের সিরিজে ফেরা। বৃহস্পতিবার রাজকোটে দুই দলের এই লড়াইয়ে জয়ী ভারত। যে জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরাত স্বাগতিকেরা।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এদিন টাইগারদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়েছিল বাংলাদেশ। দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশ নিজেদের সংগ্রহকে বেশি দূর নিতে পারেনি। ৬ উইকেটে ১৫৩ রানের পুঁজি গড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ১৫৪ রানের লক্ষ্যটা ২৬ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে ভারত।
দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান দাপুটে শুরু এনে দেন দলকে। এই দুইয়ের ব্যাটে ৯.২ ওভারেই দলীয় ১০০ পূরণ করে ভারত। শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা রোহিত ২৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত আমিনুলের শিকার হয়ে ফেরার আগে ৪৩ বলে করেন ৮৫ রান। ৬টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি।
তার আগে আমিনুলের প্রথম শিকার ছিলেন ধাওয়ান। ২৭ বলে ৪ চারে ৩১ রান করেন এই ওপেনার। ভারতের বাকি কাজটা সারেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ার।
সহজ লক্ষ্য ভারতের সামনে
বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরুর পরও দারুণভাবে খেলায় ফিরল ভারত। স্লগ ওভারে দারুণ বল করে বাংলাদেশকে আটকে রাখল ১৫৩ রানে।
বৃহস্পতিবার রাজকোটের সৌরাস্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে টাইগাররা। অর্থাৎ ভারতকে করতে হবে ১৫৪ রান।
সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ৩০, মাহমুদউল্লাহ ৩০ ও লিটন দাস ২৯ রান করেন। ভারতের পক্ষে সর্বাধিক ২ উইকেট নিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
দিল্লিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে টাইগাররা। সিরিজে ফিরতে হলে এ ম্যাচে জিততেই হবে ভারতকে। আর বাংলাদেশ জয় পেলে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই নিশ্চিত হবে সিরিজ।
ফিরলেন আফিফও
স্লগ ওভারে খেলা। দ্রুত রান তোলা দরকার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু ১৭তম ওভারে ফিরে গেছেন আফিফ। খলিল আহমেদের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হয়েছেন তিনি। ৮ বলে ৬ রান করেছেন আফিফ। বাংলাদেশের স্কোর ১৬.৩ ওভারে ১২৮/৫।
হঠাৎ চাপে বাংলাদেশ
লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ২০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে হঠাৎ চাপে পড়েছে টাইগাররা। যুজবেন্দ্র চাহালের করা ১৩তম ওভারে মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার ফিরে গেছেন। ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/৪।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে এখন ব্যাট করছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
চাহালের জোড়া আঘাত
১৩তম ওভারের প্রথম বলে আগের ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিমকে শিকার বানান যুজবেন্দ্র চাহাল। স্বভাবসুলভ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্রুনাল পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। একই ওভারের শেষ বলে সৌম্য স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন। লিটনের বেলায় ভুল করলেও এবার আর ভুল করেননি ভারতীয় উইকেটরক্ষক পন্ত।
দলকে ভালো শুরু দিয়ে ফিরলেন নাঈম
লিটন দাস ফিরে যাওয়ার পর ফিরে গেলেন মোহাম্মদ নাঈমও। তবে দলকে ভালো ভিত দিয়ে গেছেন এই ওপেনার। ওয়াশিংটন সুন্দরের করা ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে শ্রেয়াস আয়ারকে ক্যাচ দিয়েছেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই ব্যাটার।
লেংথ বলটাকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন নাঈম। ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন শ্রেয়াস আয়ারের হাতে। ৩১ বলে ৫ চারে ৩৬ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি। সৌম্য সরকারের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
দুইবার জীবন পেয়েও ফিরে গেলেন লিটন
রাজকোটে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান যোগ করেছে টাইগাররা। ২৯ রান করে লিটন দাসের ফেরায় এই জুটির পতন হয় অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে। দুইবার জীবন পেয়েও লিটন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
উড়ন্ত শুরু টাইগারদের
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইমের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারে বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে যোগ করেছে ৪১ রান। যার ২৬ রান এসেছে বাঁ-হাতি নাইমের ব্যাট থেকে। ১৫ রান এসেছে ডানহাতি লিটনের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আয়ার, রিশভ পন্ত, ক্রুনাল পান্ডিয়া, শিবাম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহার, যুজবেন্দ্র চাহাল, খলিল আহমেদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।