জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সং ঘ র্ষের ঘটনায় ৯ মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহতরা বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও তারাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাসায় ফিরে গেছেন। যাত্রীবাহী বাসের লকারে গরু পরিবহণ করা হচ্ছিল। এতে উদ্ধারকারী পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা হতবাক হয়েছেন।
দু র্ঘট নার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর ঠাকুরগাঁও থেকে ছেড়ে আসা ইসলাম পরিবহণের বাসটির লকার থেকে ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে সোমবার ক্রেন ও ডেকার দিয়ে বাস দুটিকে টেনে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে তারাগঞ্জ হাইওয়ের সামনে রাখা হয়। এরপর ইসলাম পরিবহণের বাসটির লকারে শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে লকার খুলে দেখা যায় সেখানে চারটি গরু। এর মধ্যে দুটি গরু আহত অবস্থায় ছটফট করছিল।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ গরুগুলোকে উদ্ধার করে সেবা-যত্ন করে। পরে গরুগুলোকে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গরুগুলো ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে গরুর মালিক জানান।
এদিকে লকারে গরু পরিবহনের বিষয়টি দুর্ঘটনায় না পড়লে কারও নজরেই আসত না। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বাসের লকারে গরু পরিবহণের ঘটনা সচেতন মহল নিষ্ঠুর আচরণ বলে মনে করছে।
গরু উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ বলেন, লকারে করে গরুগুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পরে সোমবার বিকালে মালিকের কাছে ২টি হস্তান্তর করা হয়েছে, আর ২টি গরু মারা গেছে।
গরুর মালিক কে ছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
এসআই আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন রংপুরে রয়েছি। এই মুহূর্তে গরুর মালিকের নাম বলতে পারব না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।