এ.এম. উবায়েদ : দেশের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ শোলাকিয়া ঈদগাহে ১২ আগস্ট (সোমবার) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ১৯২তম ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করবেন শহরের মার্কাস মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
এ ঈদগাহ মাঠ ১৮২৮ সালে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির ওপরে গোড়াপত্তন হয়। । ওই বছর ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই ঈদের জামাতে মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমানে শোলাকিয়া নামকরণ হয়েছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহের নিয়মিত ইমাম ইসলাহুল মুসলিহীন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এবার হজে যাওয়া বিকল্প হিসেবে তিনি ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইতোমধ্যে ঈদগাহ মাঠের দাগকাটা, মেহরাব ও দেয়ালে চুনকাম করা, ওজুখানা তৈরি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ ঈদজামাত আয়োজনের সার্বিক কাজ প্রায় শেষের দিকে। এনিয়ে দিনরাত কাজ করছেন ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন। শান্তিপূর্ণভাবে ঈদজামাত আয়োজনে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও একযোগে কাজ করছেন।
বেশি মুসল্লিদের সঙ্গে জামাত আদায় করলে দোয়া কবুল হয়- এমন আকর্ষণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন মুসল্লিরা। ঈদ জামাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ভোর থেকে ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে বিশেষ দু’টি ট্রেন চলাচল করবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করেছেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লহ আল মাসউদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নাজমুল ইসলাম সোপান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাদির মিয়াসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এসপি মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, ঈদজামাত নির্বিঘ্নি করতে মাঠে তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঈদজামাত চলার আগে থেকেই মাঠে ও আশপাশ এলাকায় ড্রোন উড়ানো হবে। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাশির মাধ্যমে মাঠে প্রবেশ করানো হবে। সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ডিসি সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক কাজ শেষ পর্যায়ে। দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জবাসীসহ দেশের সবাইকে ঈদজামাতে অংশ নিতে আহ্বান জানান ডিসি। সূত্র : সময়ের কন্ঠস্বর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।