স্পোর্টস ডেস্ক : বিশাল সংগ্রহ দাড় করেও দিল্লির ওপেনার শিখর ধাওয়ানের সাইক্লোন ব্যাটিংয়ের কাছে পরাস্ত হলো চেন্নাই সুপার কিংস।
তার হার না মানা মাত্র ৫৮ বলে সেঞ্চুরির সুবাদে ধোনির চেন্নাইকে ৫ উইকেটে হারাল দিল্লি।
শনিবার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার স্যাম কারানের উইকেট হারায় চেন্নাই। তুষার দেশপান্ডে ইনিংসের প্রথম ওভারেই স্যাম কারানকে শুন্যরানে সাজঘরে ফেরান। এর পরের ওভারে মেডেন নেন প্রোটিয়া বোলার কাসিগো রাবাদা।
এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাট হাতে নেন অধিনায়ক ধোনি। কিন্তু কিছুই করতে পারেননি তিনি। উল্টো দলকে ডুবিয়ে দিয়ে আসেন।
মাত্র ৩ রান যোগ করে অ্যানরিখ নর্টজের বলে আউট হন ধোনি।
তবে ফ্যাফ ডু প্লেসি এবং শেন ওয়াটসন মিলে প্রথম দলকে বড় ধাক্কা থেকে বাঁচিয়ে নেন। এ জুটি ৮৭ রান যোগ করেন। ২৮ বলে ৩৬ রান করে সেই নর্টজের বলে বোল্ড হন ওয়াটসন।
৪৭ বলে ৫৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। তাকে ফিরিয়ে আসরের প্রতিটি ম্যাচে উইকেট শিকারের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখেন রাবাদা।
এর পর আম্বাতি রাইডু ও রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত জুটি ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেয় চেন্নাইকে। রাইডু ২৫ বলে অপরাজিত থাকে ৪৫ রানে। ১৩ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রবীন্দ্র জাদেজা।
দিল্লির পক্ষে ২ উইকেট নেন অ্যানরিখ নর্টজে এবং ১টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা ও তুষার দেশপান্ডে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস।
১৮০ রানের বড় সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের মতোই শুরুতে ওপেনার পৃথ্বি শকে হারায় দিল্লি।
দীপক চাহারের বলে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন পৃথ্বি শ। এরপর খুব কাছাকাছি সময়ে দ্বিতীয় আঘাত হানেন সেই চাহার। এবার দিল্লির অন্যতম ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানেকে আউট করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১০ বল খেলে ৮ রান যোগ করেন রাহানে।
তবে অন্যপ্রান্ত ধরে সপাটে ব্যাট চালিয়ে যান ওপেনার শিখর ধাওয়ান। শিখর শুধু সতীর্থদের আসা-যাওয়াই দেখেছেন। তাদের মধ্যে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও মার্কাস স্টইনিস ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি।
ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ২৩ বলে ২৩ রান করে ব্রাভোর ওভারে আউট হন শ্রেয়াস। ১৪ বলে ২৪ রানের কেমিও ইনিংস খেলে আউট হন স্টইনিস।
তবে চেন্নাইয়ের কোনো বোলারকে পাত্তাই দেননি ধাওয়ান। স্যাম কারান, শার্দুল ঠাকুর আর করণ শর্মাকে পিটিয়ে তুলোধুনে করে দলের লক্ষ্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ধাওয়ান। মাত্র ২৯ বলে হাফসেঞ্চুির হাঁকান ধাওয়ান।
মাত্র ৫৪ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন ধাওয়ান। তার এই সেঞ্চুরিতে ছিল ১৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছয়ের মার। অন্যপ্রান্ত ধাওয়ানকে সঙ্গ দেন অক্ষর পাটেল। শুধু সঙ্গই দেননি। মূলত শেষ দিকে তারই টর্নেডো ইনিংসের ভর করে জয় ছিনিয়ে নেয় দিল্লি।
শেষ ওভারে জাদেজাকে তিনটি ছক্কা মারলেন। মাত্র ৫ বলে ৩ ছক্কার মারে ২১ রানে নটআউট থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।