আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৌরসভার নারী ট্রেইনি ক্লার্কদের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে লাইন দিয়ে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ফিটনেস পরীক্ষার নামে তাদেরকে ব্যক্তিগত প্রশ্নে জর্জরিত করারও অভিযোগ উঠেছে নারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।
ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই সময়।
এ ঘটনায় কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কর্মচারীদের সংগঠন। তাদের অভিযোগ, শতাধিক মহিলা কর্মীকে বাধ্যতামূলক ফিটনেস টেস্টের জন্য সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে গিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়।
ভুক্তভোগী একজনের বরাত দিয়ে এক শীর্ষ কর্মী বলেন, ‘নারী কর্মীদের জোর করে একসঙ্গে নগ্ন করে দাঁড় করানো হয়। একটি ঘরে ১০ জন করে ছিলেন। যেখানে তাদের গোপনীয়তা বলে কিছু ছিল না। দরজাটাও ঠিকমতো বন্ধ ছিল না। বাইরের লোক যাতে ভেতরের দৃশ্য দেখতে না পারে, সে জন্য শুধু একটি পর্দা টাঙানো ছিল।’
এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের বিতর্কিত ফিংগার টেস্ট দিতে হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অবিবাহিত নারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা কোনো সময় গর্ভবতী হয়েছেন কি না।
যে নারী চিকিৎসকরা গায়নোলজিক্যাল টেস্ট নিচ্ছিলেন, তাদের কয়েকজন অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।
পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণ ফিটনেস টেস্ট হয়েছে। যেখানে চোখ, ইএনটি, হার্ট ও ফুসফুসের পরীক্ষাসহ সার্বিক পরীক্ষা হয়। তিন বছর প্রবেশন পূর্ণ করার পর কনফারমেশন পেতে এই মেডিক্যাল টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক।
কর্মচারীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এএ শেখ বলেছেন, ‘এই অভিযোগ শোনার পর অবিলম্বে এমন অমানবিক পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। কোথাও নারী কর্মীদের এমন মেডিক্যাল টেস্ট দিতে হয় বলে শুনিনি।’
সপ্তাহখানে আগে ভূজে হোস্টেলে পিরিয়ড হয়েছে কি না তা জানতে প্রায় নগ্ন করা হয়েছিল সেখানকার ছাত্রীদের। কারণ, পিরিয়ড অবস্থায় মন্দিরে প্রবেশ এবং পূজা দেওয়া নিষেধ। এনিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।