জুমবাংলা ডেস্ক: ‘নবাবের নাতি’ পরিচয়দানকারী আলী হাসান আসকারীসহ তিনজনের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি দেওয়ার নামে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার রাতে রফিকুল ইসলাম মামলা দায়ের করেন। রাতেই এ মামলার দ্বিতীয় আসামি আসকারীর শ্যালক রায়হান উদ্দীন জনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
মামলা এজাহারে রফিকুল উল্লেখ করেন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নাতি পরিচয় দিয়ে আলী হাসান আসকারী চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। ২০১৮ সালের ২৩ মে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিন দফায় ব্যাংক ও নগদে ১৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক আসকারী। এরপর চাকরি দিতে না পারলে যোগযোগ করলে তিনি নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তার সঙ্গে প্রতারণায় অংশ নেন তার স্ত্রী মেরিনা আক্তার হেনা আসকারীসহ আরও কয়েকজন।
গত ২৯ অক্টোবর বিভিন্ন অপরাধে আসকারীকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গ্রেপ্তারের পর তার প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, কথিত নবাব পরিচয় দিয়ে আলী হাসান আসকারী নিজেকে প্রভাবশালী দাবি করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার একাধিক স্ত্রীর মধ্যে একজনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরে। সেই সুযোগে তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরেও প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘আসকারী ও তার স্ত্রী-শ্যালকসহ তিনজনের নামে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি ও আসকারীর শ্যালক রায়হান উদ্দীন জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনিকে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।