নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শামীম মিয়া (৩৫) করোনাভাইরাসকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ১০ দিন পলাশ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। শুক্রবার দুপুরে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দল তাকে করোনা মুক্ত ঘোষণা দিয়ে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ছাড়পত্র দেন।
শামীম মিয়া পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সুস্থ্য হওয়া শামীম মিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার পাশাপাশে ওই গার্মেন্টসের মসজিদে ইমামতি করতেন। গত ৫ এপ্রিল করোনা উপসর্গ দেখা দিলে শামীম নিজেই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দিয়ে আসেন। পরে ৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পরে ওইদিন রাতেই পলাশ উপজেলা প্রশাসন ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া এলাকার সব দোকান বন্ধ করে লকডাউন করে দেয়। তারপর দিন ৭ এপ্রিল দুপুরে করোনা আক্রান্ত শামীম মিয়াকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রেখে তার চিকিৎসা করানো হয়। তাছাড়া শামীম মিয়ার পরিবারের ৯ সদস্যকেও উপজেলা কোরয়ারেন্টিন সেন্টারে রেখে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিআরে পাঠানো হলে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হক বলেন, পলাশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শামীম মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার পরপর দুইবার নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিআরে পাঠানো হলে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই শামীমকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করে বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।আর জিনারদী ইউনিয়নের গাবতলি গ্রামে করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থাও ভালো। ওই দুই জনকে বাড়িতে রেখেই আইসোলেশনের ব্যবস্থা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) ফারহানা আলী বলেন, করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে যাওয়া শামীম মিয়ার বাড়ির লকডাউন (তালা) খুলে দেওয়া হবে। তবে অহেতুক যাতে কেউ বাইরে না বের হয়, সে বিষয়ে কড়া নজরদারীতে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।