ভোলায় নিজ বসতঘরে ঢুকে এক মসজিদের খতিব ও মাদরাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই খতিবের নাম মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৪৫)।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় শহরের চরনোয়াবাদ সংলগ্ন বাপ্তা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাইস মিল সংলগ্ন মাওলানা এনামুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ।
জানা যায়, নিহত মাওলানা আমিনুল হক নোমানী ওই এলাকার মাওলানা এনামুল হকের ছেলে। তিনি ভোলা ভোলা সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুদিন আগে আমিনুল হকের শ্বশুর অসুস্থ হওয়ায় তার স্ত্রী-সন্তান বাবার বাড়িতে যান। তিনি তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। গত দুদিন তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। শনিবার রাতে স্থানীয় মসজিদে এশার নামাজ শেষে এনামুল হক নিজ বাড়িতে যান। এরপর রাত আনুমানিক পৌনে ৯টায় প্রতিবেশীরা তার চিৎকার শুনে কাছে গিয়ে দেখেন এলোপাতাড়ি কোপানো অবস্থায় তার রক্তাক্ত দেহ নিজ বসতঘরে পড়ে আছে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে আনলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. ইয়াসির হাসনাত বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে রোগীকে জরুরি বিভাগে আনা হলে আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার পালস-বিপি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, রোগীর শরীরের অনেকগুলো ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আমরা দ্রুত তার চিকিৎসাসহ ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিন্তু এর মধ্যেই রোগীটি মৃত্যুবরণ করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।