জবি প্রতিনিধি : নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে নির্দলীয় একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে গেটলক কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আয়োজিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি ও হুঁশিয়ারি প্রদান করেন ।
বিক্ষোভ মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে কলা ভবন ও বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে এসে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অতিথি ভিসির ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’,‘ভাড়াটিয়া ভিসি আসলে, গেইটে তালা ঝুলবে,’ ‘জবি থেকে ভিসি চাই, দিতে হবে-দিতে হবে’ স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন নির্দলীয় উপাচার্য দিতে হবে। সকল প্রকার ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে যিনি মেরুদণ্ড সোজা করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন, এ রকম উপাচার্য দিতে হবে। জবির বাহির থেকে উপাচার্য আসলে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে। এ সময় বহিরাগত উপাচার্যকে কোন ধরণের সহযোগিতা না করারও ঘোষণা দেন তারা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জবিতে এক ঝাঁক যোগ্য শিক্ষক আছে, কিন্তু বারবার সেই শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এখন থেকে সকল উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ প্রশাসনিক পদে নিজস্ব শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে আর কখনো কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলোনি বানাতে দেওয়া হবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক নিরপেক্ষ যোগ্য অধ্যাপক আছেন যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার সক্ষমতা রাখেন।
আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান সাদী বলেন, শিক্ষকদের শুধু বেতন দেয়া হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ধরণের অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন চলেছে। তারা কিছু নিয়ম কানুন দিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। এখন আমরা নিজেরা নিজেদের বিশ্বিবদ্যালয়ের উন্নয়ন করতে চাই। আমাদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা কালচার আছে, সেই কালচার ও নিয়মকানুনই চলবে।
ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন বলেন, প্রায় বিশ বছর পর আজও বলতে হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। একটা ভবন ছাড়া কিছুি হয়নি। না হওয়ার পেছনের কারণ হলো- নেতৃত্বের সংকট ও তথাকথিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তৃত্ব। বাহির থেকে এসে সবাই রুটিন দায়িত্ব পালন করে গেছে। রুটিন দায়িত্ব পালন করে বিশ্বিবদ্যালয় পরিচালনা করা যায় না।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংকে সর্ববৃহৎ ঋণ জালিয়াতি, ৩৪০০ কোটি টাকা এস আলমের পকেটে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।