জুমবাংলা ডেস্ক : নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর তাঁতীপাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক সন্তোষ রায় অনেক আশা নিয়ে এবারে বর্গায় বোরো ধান চাষ করেছিলেন আড়াই বিঘা জমিতে। সংসার চালানোর তাগিদে সে ধান পাকার আগে গিয়েছিলেন বগুড়ায় ধানকাটা শ্রমিকের কাজে। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। এমন অকাল মৃত্যুতে তিন কন্যা সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন স্ত্রী ময়না রাণী রায় ক্ষেতের ধান পাকলেও কাটতে পারছিলেন না অর্থ অভাবে। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রশিদুল ইসলামের উদ্যোগে সে ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলে দিলেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বগুড়ায় ধান কাটা শ্রমিকের কাজ করতে যায় সন্তোষ রায়। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০ এপ্রিল মৃত্যু হয় তার। অর্থের অভাবে শ্রমিক দিয়ে আবাদের ধান কাটতে পারছিলেন না তার স্ত্রী। এ অবস্থায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রশিদুল ইসলামের উদ্যোগে ধান কাটার সহযোগিতায় এগিয়ে আসে এলাকাবাসী। তাতে যোগ দেন এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাচানুর রহমানসহ ৪০ জন যুবক। তারা ক্ষেতের ধান কাটা-মাড়াই করে তুলে দেন অসহায় পরিবারটির ঘরে।
ময়না রাণী রায় বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর কোনো টাকা-পয়সা নেই আমার হাতে। ওই ধান কাটা-মাড়াই নিয়ে অনেক দুঃচিন্তায় ছিলাম আমি। রশিদুল স্যারের নেতৃত্বে এলাকার মানুষ সে ধান ঘরে তুলে দিয়ে আমার অনেক উপকার করেছেন। তাদের কথা সারা জীবন আমার মনে থাকবে।
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাচানুর রহমানসহ এলাকার যুবকদের। অসহায় কৃষকের সহযোগিতা করে তারা অনেক বড় মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।