জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওরে ট্রলারডুবিতে নিহত ১৮ জনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরাঞ্চল সিরতা ইউনিয়নের কোনাপাড়া ঈদগাহ মাঠে ওই গ্রামের একই পরিবারের আটজনসহ ১৩ জনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
জানাজায় আশপাশের গ্রাম থেকে হাজারও মানুষ শরিক হন। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এছাড়া খরিচা গ্রামে পিতা-পুত্রের, গোবিন্দপুর গ্রামে অপর একজনের জানাজা শেষে তাদের লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় এবং গৌরীপুর উপজেলার ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামে পিতা-পুত্রের লাশ বুধবার রাতেই জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকেও বৃহস্পতিবার বাদ জোহর কোনাপাড়ায় দাফন করা হয়।
এদিকে চরসিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়িদ ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো গ্রহণ করে বুধবার রাতেই ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসেন। লাশগুলো ‘মাদ্রাসায়ে মারকাযুস সুন্নাহ’ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আনা হলে স্বজনদের আহাজারিতে এক শোকাবহ দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ট্রলারডুবিতে নিহত ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জনেরই বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় এবং বাকি দুইজনের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়।
এর মধ্যে সদর উপজেলার সিরতা কোনাপাড়া গ্রামের পিতা-পুত্রসহ একই পরিবারের আটজন ও একই গ্রামের আরও পাঁচজন মাদ্রাসা শিক্ষক, খরিচা গ্রামে পিতা-পুত্র ও পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামের একজন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা কোনাপাড়া ‘মাদ্রাসায়ে মারকাযুস সুন্নাহ’র মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯ জন শিক্ষক ও দুজন শিক্ষার্থীসহ ৪৮ জন নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার উচিতপুরে জামিয়া আজিজিয়া মঈনউল ইসলাম মাদ্রাসার আমন্ত্রণে বেড়াতে যান। সেখানে বিনোদন পেতে হাওরের উদ্দেশে ট্রলার ভ্রমণে গিয়ে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৭ জন। সাঁতরে পাড়ে ফিরেন ৩০ জন। বৃহস্পতিবার সকালে নিখোঁজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।