জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দেড় বছর বয়সী হাবিব নামে এক শিশুর শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৭ মে) দুপুরে এ অভিযোগে শিশুর দাদী রহিমা বেগম প্রতিবেশী খুকি ও অচেনা আরেও তিন জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অভিযুক্ত খুকি সদর উপজেলার চর পার্বতীনগর গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী। আক্রান্ত শিশু হাবিব একই গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, চরপার্বতীনগর গ্রামের রহিমা বেগমদের সঙ্গে প্রতিবেশী খুকিদের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার (১১ মে) বিকেলে খুকি কৌশলে রহিমার নাতি হাবিবকে তার ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে খুকি শিশুটির শরীরে তিনটি বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থান্তান্তর করেন।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিওতে চিকিৎসাধীন আছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, দিনদিন শিশুটির অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
এছাড়া খুকির বিরুদ্ধে রহিমার অপর দুই নাতি লাবিব ও রহমানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জিডিতে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার দিনই রহিমা সদর থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগ রয়েছে, প্রায় ১৩ বছর আগে খুকি তার ভাসুরের ছেলে তারেক হোসেনকে হত্যা করে চালের ড্রামে ভরে রাখে। পরে লোক দিয়ে তারেকের লাশ পুকুরে ফেলে দেয় সে। খুকির পরকীয়া প্রেমের ঘটনা দেখে ফেলায় ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে প্রমাণের অভাবে সেটি ধামাচাপা পড়ে যায়। স্থানীয়ভাবে বেশ দুর্নাম রয়েছে খুকির।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে শিশুটি এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। শিশুটির মায়ের কাছে ওই ইনজেকশনগুলোর সিরিঞ্জ আছে বলে শুনেছি। বাচ্চার সাথে মাও ঢাকায় থাকার কারণে সেগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তিনি লক্ষ্মীপুর ফিরলে সেগুলো সংগ্রহ করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।