স্পোর্টস ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে একধাপ এগিয়ে গেল ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে জয়ের ম্যাচে সিটিজেনদের হয়ে গোল দুটি করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা ও রিয়াদ মাহরেজ। আর পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন মার্কুইনহোস।
এদিকে পার্ক দে প্রিন্সেসে খেলার ১৫ মিনিটে অধিনায়ক মার্কুইনহোসের গোলে লিড নিয়েছিল ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। এই গোলের পর এলিট এক তালিকায় নাম উঠেছে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর আতোয়াঁ গ্রিজম্যানের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টানা দুই মৌসুমে কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে গোলস্কোরার তিনি।
এই গোল শোধে চেষ্টা করে গেছে ইংলিশ জায়ান্টরা। দুই লেগের লড়াইয়ে অ্যাওয়ে গোলের গুরুত্ব সবারই জানা। তবে মৌরিসিও পচেত্তিনো নির্ভারই ছিলেন। ডি-বক্সে গ্লাভস হাতে দাঁড়ানো কেইলর নাভাস যে পিএসজির নির্ভরতার প্রতীক। দু’এক দফা খুব কাছে গিয়ে ফিরেছে সিটিজেনরা।
স্বাগতিকদের তারকা বহুল আক্রমণভাগকে সামলাতে কষ্ট হয়েছে এডারসনেরও। সিটির গোলরক্ষককে ভয় ধরিয়ে দেওয়া সেসব আক্রমণেই প্রথমার্ধটা নিজেদের করে নিলো পিএসজি।
প্যারিসে ঘাম ছুটে গেছে গার্দিওলার শিষ্যদের। ঘড়ির কাঁটা ছুটছিল ৯০ মিনিটের মাইলফলক ছুঁতে। স্নায়ুচাপ বাড়ছিল আরও। কিন্তু স্নায়ুচাপের পরীক্ষায় সুপারম্যান নাভাসকেও যে হার মানতে হলো। ৬৪ মিনিটে ডি ব্রুইনার বাড়ানো বলটাই খুঁজে নিলো জালের ঠিকানা।
হঠাৎ তাল হারায় প্যারিস। ৭ মিনিট বাদে ডি-বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় ইংলিশ জায়ান্টরা। ফ্রি কিক ওয়ালের ফাঁক গলে জালে জড়ায় রিয়াদ মাহরেজের শট। ডাগআউটে প্রাণ ফিরে পান গার্দিওলা।
স্প্যানিশ কোচের হাসি হয় চওড়া। আর পাশেই পচেত্তিনো বিষন্ন। ৭৭ মিনিটে সেনেগালের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ইদ্রিসার লাল কার্ডে ১০ জনের পরিণত হওয়া দলটাকে দেখে আর কি’ইবা করার ছিল তার। শেষ বাঁশি বাজার আগে আপ্রাণ চেষ্টা করেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি পিএসজি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।