জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পুকুরের পানি পানের পর আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ১১টি গরু মারা গেছে। রোববার সকালের দিকে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের সুতারগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকার গৃহস্থদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুরের পানি সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের আনিস উল্লার ছেলে আবু সালাম সরকারি জমিতে থাকা ছোট ছোট ডোবা দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। কিছুদিন আগে সড়কের মাটি ভরাটের ফলে একটি গর্ত হয়, সেখানে বৃষ্টির পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে যায়। তিনি তাতে মাছের রেনু ফেলার জন্য শনিবার বিষপ্রয়োগ করেন। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে গ্রামের পঞ্চায়েতি তিনজন রাখাল বিভিন্ন মালিকের অর্ধশতাধিক গরু নিয়ে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বিষ প্রয়োগকৃত ডোবার পানি পান করে কয়েকটি গরু। পানি পানের কিছুক্ষণের মধ্যেই গরুগুলো লাফাতে লাফাতে মাটিতে পড়ে মারা যায়।
চাতলপাড় গ্রামের সুজন খান বলেন, গরু মারা যাওয়ার দৃশ্য দেখে রাখালরা চিল্লাচিল্লি শুরু করলে গ্রামের লোকজন দৌড়াদদৌড়ি শুরু করে। করোনাভাইরাসে হাওরে একের পর এক গরু মারা যাচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের নারীরা বাচ্চাদের ঘরে আটকে রেখে দরজা জানালা বন্ধ করে দেন।
একই গ্রামের আবু সালাম বলেন, গ্রামের পঞ্চায়েতের আদেশে রাস্তায় মাটি তোলার জন্য পুকুরটি আমি শুকিয়ে দিয়েছি, তাদের অনুমতি নিয়েই সেখানে মাছের পোনা উৎপাদনের জন্য চুনপ্রয়োগ করা হয়েছে, কোন ধরনের বিষ দেওয়া হয়নি।
দিরাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এফ এম বাবরা হ্যামলিন বলেন, গরুগুলো কি কারণে মারা গেছে তা সঠিক করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাবো, রিপোর্ট আসার পরই তা বলা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে গরুগুলো বিষক্রিয়ার কারণেই মারা গেছে।
দিরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম বলেন, পুকুরের পানি সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে বিষ দেওয়া হয়েছে কি না তা জানার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দিরাই থানার ওসি কেএম নজরুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু ১১টি গরুর মৃত্যুর ধরণ একই রকম, তাই মৃত দুটি গরু ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।