নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজান ওরফে কেটু মিজানকে প্রিজনভ্যানের ভেতরে দাঁড়িয়ে ধূমপান করতে দেখা গেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে এই দৃশ্য ধরা পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, কেটু মিজান প্রিজনভ্যানের গেটের কাছে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছেন, পাশে আরেক আসামি নীরবে তাকিয়ে আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওইদিন বিকেলে তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুনের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় পুলিশ প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নেওয়ার পথে কেটু মিজানকে ধূমপান করতে দেখা যায়।
গ্রেপ্তার বাকি আসামিরা হলেন—কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল আমিন, স্বাধীন, মো. শাহজালাল, মো. ফয়সাল হাসান, সুমন ওরফে সাব্বির।
স্থানীয় সংবাদকর্মী রেজাউল করিম প্রিজনভ্যানের ভেতরে কেটু মিজানের হাতে সিগারেটের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন— “পুলিশের প্রিজনভ্যানে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রধান আসামি কেটু মিজান নেশাদ্রব্য পাইলো কীভাবে?”
একই বিষয়ে নিলয় আহমেদ নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন— “প্রিজনভ্যানের মধ্যেও রাজকীয় হালে আছে। মনে হচ্ছে এসব খুন ২/১ টা তার কাছে কিছুই না।”
এ প্রসঙ্গে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, “এরকম একটি ছবি আমিও দেখেছি। মনে হচ্ছে আদালত থেকে ফেরার পথে কেউ সিগারেট দিয়েছে। এটি তদন্ত করা প্রয়োজন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।