জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস থেকে নরসিংদীতে আত্মীয়দের নামাতে সন্ধ্যায় রওনা হয় আনোয়ার হোসেনের গাড়ি চালক আশরাফুল ও তার শ্যালক জহিরুল ইসলাম। নরসিংদীতে আত্মীয়দের নামিয়ে যখন ঢাকায় ফিরছিলেন, তখনই ঘটে বিপত্তি।
রাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার সাতগ্রাম এলকায় গাড়ি পৌঁছালে পথরোধ করে ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকারযুক্ত একটি মাইক্রোবাস। প্রথমে পুলিশের পোশাক পরা তিনজন সদস্য গাড়িতে ইয়াবা আছে বলে গাড়ি তল্লাশি করার জন্য উদ্ধত হয়। এসময় গাড়ি চালক আশরাফুল এবং জহিরুল ইসলামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র চায় তারা। এসময় তাদের দুইজনকে বড় অফিসার ডাকছে বলে পুলিশের স্টিকারযুক্ত গাড়ির কাছে নেওয়া হয় তাদের। আর ঠিক তখনই পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি চালক আশরাফ ও জহিরুলকে তোলা হয় মাইক্রোতে।
এরপর হাত পা বেঁধে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। কয়েক ঘণ্টা বেধড়ক মারার পর তাদের ছানপাড়া ঈদগাহ মাঠের কাছে তাদের ফেলে দিয়ে যায়। এসময় দুইজনের কাছ থেকে নগদ টাকা দুটি মোবাইল ফোন, গাড়িসহ মূল্যবান কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পরদিন সকালে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
আনোয়ার হোসেন জানান, ২৭ লাখ টাকার গাড়িসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে এই চক্র। এই ঘটনায় ভুয়া চার পুলিশ সদস্য যাদের একজনের ভাষা দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বরিশালের ভাষায় কথা বলেছে। তিনি এ ঘটনায় ছিনতাইকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন আনোয়ার।
এই বিষয়ে আড়াইহাজার থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে, তবে কাউকে গ্রেফতার বা গাড়ির অবস্থান এবং ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের নাম নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।