জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের কালীগঞ্জ অংশের শাল বনসহ পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৪৪ একর বনভূমি সংরক্ষণ ও মহাপরিকল্পনা গ্রহনে বন বিভাগকে হস্তান্তর করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই বন এলাকার ভূমির ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কাজ করবে বন বিভাগ। এজন্য মঙ্গলবার রাজউক ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সাক্ষরিত হয়েছে। রাজউক ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তিতে রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা ও বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষর করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মামুনুল আলম, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক ও পূর্বাচল নতুন শহরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক প্রমুখ।
এ বিষয়ে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক বলেন, ‘পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৪ ও ২৫ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত প্রাকৃতিক শাল বন সহ ১৪৪ একর ভূমির ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন বন অধিদপ্তর এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১০ বছর এই বন সংরক্ষণ করবে বন বিভাগ। পরবর্তিতে চুক্তি আবার নবায়ণ করতে পারবে।’
চুক্তি শর্তে উল্লেখ করা হয়, এ সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ স্বাক্ষরের তারিখ হতে ১০ (দশ) বৎসর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। মেয়াদ শেষে প্রাকৃতিক শাল বনের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা ও এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে। প্রাকৃতিক বৃক্ষসম্পদ ও এর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য এবং বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুসারে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। দ্বিতীয় পক্ষ বর্ণিত ভূমির বৃক্ষসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বন ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কাজে নিয়োজিত বনকর্মীদের অফিস এবং ব্যারাক নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় পক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে প্রথম পক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে উন্নয়ন প্রকল্প/কর্মসূচির আওতায় প্রথম পক্ষের সম্মতিক্রমে দ্বিতীয় পক্ষও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
ভূমির বৃক্ষসম্পদের সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য দ্বিতীয় পক্ষ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্প/কর্মসূচি গ্রহণ করবে, প্রথম পক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্প/কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করতে পারবে। ভূমির বৃক্ষসম্পদের সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য দ্বিতীয় পক্ষ একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করবে। মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত ও বাস্তবায়নে এক পক্ষ অপর পক্ষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে এবং উভয় পক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থায়ন করতে পারবে। বন ভূমিতে প্রকৃতি পর্যটন, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে উভয় পক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে এক পক্ষ অপর পক্ষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থায়ন করতে পারবে বলে চুক্তি উল্লেখ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।