স্পোর্টস ডেস্ক: একের পর এক মৌসুম চলে যায়। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির কপালে কিছুই জোটে না। কোনওবার ভাল শুরু করেও শেষে এসে মুখ থুবড়ে পড়ে তার দল। কোনওবার মৌসুম শুরু হয় হতাশা নিয়ে। শুরু থেকেই একের পর এক হার হজম করতে হয়।
তবে কোনওবারই আইপিএলে খারাপ দল গড়ে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি)। বরং তারকাখচিত হয় তাদের দল। ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, কোহলি থেকে শুরু করে বিশ্ব ক্রিকেটের একের পর এক তারকা সেই দলে।
তবুও আজ পর্যন্ত একবারও আইপিএলে শিরোপা জেতার খেতাব জিততে পারেনি বেঙ্গালুরু। এত ব্যর্থতা, এত হারের দায় স্বাভাবিকভাবেই এসে পড়ে ক্যাপ্টেন কোহলির উপর। তিনিও হতাশ হন নিশ্চয়ই। তবে আরসিবি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেন না। কেন?
কোহলি সফল অধিনায়ক। তবে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে। তার জীবনের যাবতীয় ব্যর্থতা, হতাশা হয়তো আরসিবি’র ক্যাপ্টেন হিসাবেই। হাজার চেষ্টা করেও আরসিবির জার্সি পরে তিনি সফল হতে পারেন না।
আরসিবি ম্যানেজমেন্ট অবশ্য কোহলির উপর ভরসা রাখে। আর ভরসা না রাখারও কোনও কারণ নেই। কারণ, অধিনায়ক কোহলি নিজের শতভাগ দিয়ে থাকেন প্রতিটা ম্যাচেই। তার পারফরম্যান্সে কোনও ঘাটতি থাকে না। তবুও দলকে সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেন না তিনি।
দলগতভাবে বছরের পর বছর ব্যর্থ হয় আরসিবি। কিন্তু কোহলি তো চাইলেই অন্য কোনও দলের হয়ে খেলতে পারেন! তিনি কেন আরসিবি ছাড়েন না? জানালেন নিজেই…
সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ও আরসিবি দলের সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিলেন কোহলি।
আরসিবি দলকে না ছাড়ার ব্যপারে সেই আড্ডায় কোহলি বলেন, আরসিবি সমর্থকদের থেকে ভালবাসা পাই। ওদের থেকে এমন ব্যবহার কখনও পাইনি যে আরসিবি ছাড়ার কথা ভাবতে হবে। বছরের পর বছর ধরে ওদের সমর্থন, ভালবাসা পেয়ে আসছি। দল ব্যর্থ হলে ওরা হতাশ হয়। আমাদেরও খারাপ লাগে। কিন্তু কখনও ওদের সমর্থনে ঘাটতি পড়েনি।
তিনি আরও বলেন, একজন ক্যাপ্টেন, ক্রিকেটারকে সমর্থকদের এই সমর্থন এগিয়ে নিয়ে যায়। আসলে আজ পর্যন্ত এমন কোনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে, বেঙ্গালুরু ছাড়ার কথা ভাবতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।