জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শেরপুরে বাক প্রতিবন্ধী ভবঘুরে এক নারীকে (৪০) জোরপূর্বক অনৈতিক কাজের শিকারের ঘটনা জহুরুল ইসলাম তালেব (২৮) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দিয়ে বগুড়ায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। জহরুল তালেব উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর উত্তরপাড়া গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বেলগাড়ি গ্রামে এক বাক প্রতিবন্ধি ভবঘুরে নারী বসবাস করে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে গ্রামটির পাশেই অবস্থিত বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিক জহুরুল ইসলাম তালেব ওই প্রতিবন্ধী নারীকে ঝাপটে ধরেন।
এমনকি কোম্পানির পরিত্যক্ত একটি গোডাউনের পাশে তাকে নিয়ে গেয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করেন। একপর্যায়ে গ্রামের দুই-তিনজন ব্যক্তি গোডাউন সংলগ্ন সড়কটি দিয়ে যাওয়ার পথে ঘটনাটি দেখতে পায়।
পরে লম্পট জহুরুল ইসলাম তালেবকে হাতেনাতে আটক করে ৯৯৯ কল করে। পরে শেরপুর থানা পুলিশকে ৯৯৯ অফিস থেকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাকে লম্পট জহুরুল ইসলামকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আল-আমিন জানান, ওই বাক প্রতিবন্ধি ভবঘুরে নারী গত তিন বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করেন। কোথায় থেকে এসেছে কেউ জানেনা। এমনকি নামও জানেন। লম্পট জহুরুল জগন্যতম কাজ করার আমার বিবেককে নাড়া দিয়েছে তাই আমি বাদি হয়ে মামলা করেছি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় বেলগাড়ি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে আল আমিন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে আটক ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেইসঙ্গে অনৈতিক কাজের শিকার ওই বাক প্রতিবন্ধী নারীর ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।