জুমবাংলা ডেস্ক : গুরুতর ১৭ মামলার আসামি আনোয়ারের বিচরণ সবখানেই। ৪২ বছর বয়সী আনোয়ার নামে বেনামে কয়েকটি সন্ত্রাসী দল গড়ে তুলেছেন কক্সবাজারে। এখন তার অপরাধের বিস্তার করছে তার গঠিত বাহিনীর সদস্যরা। এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে যায়। কিন্তু পুলিশকে মেরে আহত করায় উপকূলের পাঁচ লাখ মানুষ ‘আতঙ্কে’ রয়েছেন। কক্সবাজারের অপরাধীর অন্যতম ইনি। তিনি জেলার চকরিয়ার চিরিঙ্গা ইউপির লাল মোহাম্মদ পাড়ার মুজিবউল্লাহ প্রকাশ কিনাইয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র আইন, পুলিশ এসাল্ট, ডাকাতির প্রস্তুতি ও দস্যুতার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বয়স ৪২ হলেও কিশোর বয়সে অপরাধ জগতে ঢোকেন আনোয়ার। একের পর এক অপরাধ করলেও দস্যুতার অভিযোগে ১৯৯৫ সালের ৬ মার্চ তার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম মামলা হয়। এ মামলার পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন আনোয়ার। প্রথমে অন্যের নেতৃত্বে অপরাধ দলের সদস্য ছিলেন। এখন নিজেই গড়ে তুলেছেন একাধিক অপরাধীর বাহিনী। চিংড়ি জোনে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ভাড়াটিয়া অস্ত্রবাজ, খুনসহ সব অপকর্মে জড়িত আনোয়ার। তার বেপরোয়া অপরাধে আতঙ্ক ও ভীত উপকূলীয় মানুষ। ফলে তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম নানাভাবে চেষ্টা চালায়। তিনবার ঘেরাও করলেও প্রতিবারই পুলিশকে পিটিয়ে পালিয়ে যায় আনোয়ার। ফলে তার বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২১ মার্চ, একই বছরের ৩০ এপ্রিল ও ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট তিনটি পুলিশ এসাল্ট মামলা হয়।
এর বাইরে আনোয়ারের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ২৪ মার্চ ২০০২ সালের ২ ডিসেম্বর, ২০০৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনটি ডাকাতির মামলা হয়। এছাড়া ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে ২০১১ সালের ২৮ মার্চ, একই বছরের ৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট, একই বছরের ১২ অক্টোবর, ২০১৪ সালের ১৫ মার্চ ছয়টি মামলা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর, ২০১০ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি তিনটি অস্ত্র মামলা হয়। ১৭টি মামলার মধ্যে ১৬টি চকরিয়া থানায় ও একটি মহেশখালী থানায় পরোয়ানা জারি হয়। চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১৭ মামলার আসামি আনোয়ারকে ধরে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। তার খোঁজ পেতে অসংখ্য লোক ব্যবহার করা হচ্ছে। অচিরেই আনোয়ারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব বলে আশা করছি। কক্সবাজারের অতিরিক্ত এসপি মো. ইকবাল হোসেন জানান, আনোয়ারকে যেকোনো উপায়ে গ্রেফতার করতে চকরিয়া, মহেশখালীসহ জেলার একাধিক থানার পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে গ্রেফতার করতে জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।