স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরো ফাইনালের বাঁশি বেজেছে। মুখোমুখি ইতালি ও ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলিতে ইংলিশদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক।
অবিশ্বাস্য, ম্যাচের দুই মিনিটের মধ্যেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোলটি করলেন লুক শ।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার কিক পায় ইতালি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ারই করা নয় শুধু নিজেদের নিয়ন্ত্রণেও ধরে রাখে ইংল্যান্ড। উঠে যায় কাউন্টার অ্যাটাকে।
ইতালির বক্সের ডান পাশ থেকে বাম পাশে লম্বা পাস দেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা লুক শ ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন তাতে। মুহূর্তেই বলটি জড়িয়ে গেলো ইতালির জালে।
ইউরোর মুকুট জয়ের লড়াইয়ে ইতালির বিপক্ষে লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে ইংল্যান্ড।
এই প্রথমবার ইউরো কাপের ফাইনালে ওঠা ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর ফের কোনও বড় ট্রফি ঘরে তুলবে। অন্যদিকে ইতালি ১৯৬৮ সালে প্রথমবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ওই একবারই ইউরোর খেতাব ঘরে তুলেছিল আজ্জুরি শিবিরে। তবে বড় ট্রফি জেতার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে ইতালির। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২ ও ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছে ইতালি। এছাড়াও ২০০২ ও ২০১২ সালে ইউরোর এবং ১৯৭০ ও ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা।
এখনও পর্যন্ত ইতালি ও ইংল্যান্ড, দুই দেশ একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ৩০ বার। তার মধ্যে ১১ ম্যাচে জিতেছে ইতালি। ৮ ম্যাচে জিতেছে ইংল্যান্ড। বাকি ১১ ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। রেকর্ডবুক ধরলে, ইউরো ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত রয়েছে।
দুই দলের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেই ম্য়াচ ড্র হয়েছিল। জেমি ভার্ডির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান লোরেঞ্জো ইনসাইনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।