জুমবাংলা ডেস্ক : অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ( চমেক) হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। হাসপাতালটির একাংশকে কোভিড-১৯ বা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে চালুর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে শনিবার বিকেলে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা প্রশাসকসহ দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে পত্র দেয়া হয়। নির্ভরযোগ্যরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চট্টগ্রামের সন্তান ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা চালু করার জন্য অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন তার মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসকে।
এর আগে গত ১১ মে এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনুরোধপত্র দেন । করোনায় চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সেবা সম্প্রসারণের প্রশ্নে নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে প্রেরিত অনুরোধপত্রটির প্রস্তাবনায় একই ছাদের নিচে ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি চিকিৎসা’ প্রদানের গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, হাসপাতালটির ৩০ শয্যার একটি ‘আইসোলেশন ইউনিট’ প্রস্তুত এবং আরও ১০০ শয্যা চালু করার মত প্রস্তুতি রয়েছে। পাঁচটি ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপনসহ কিডনি ও হৃদরোগীদের চিকিৎসারও প্রস্তুতি রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি দায়িত্বশীলদের আশাবাদ, চমেক হাসপাতালেই পর্যায়ক্রমে অন্তত ৩০০ শয্যার করোনা সেবা সম্প্রসারণ সম্ভব।
চট্টগ্রাম বিভাগের সবচেয়ে বৃহৎ ও কেন্দ্রীয় এই হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. হুমায়ুন কবির করোনা চিকিৎসা শুরুর অফিস আদেশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘যত শিগগির সম্ভব করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হবে । তবে রোগী ভর্তির মত পরিবেশ তৈরিতে প্রাথমিকভাবে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।’
উল্লেখ্য, চমেকে করোনা চিকিৎসা শুরুর ওই নির্দেশনা পত্রে কিডনি ও ক্যান্সারসহ অন্যসব রোগের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় এবং কোন রোগী যাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে বাধ্য না হন, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।