জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্ষণ মামলার দুই আসামির জবানবন্দি একই সময়ে রেকর্ড করায় সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। মামলার কেস ডকেটসহ আগামী ১১ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। ওই ধর্ষণ মামলার এক আসামি মো. শাহাদতের জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে সংশ্লিস্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে ডাকা হলো। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুল জলিল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় প্রাইভেট গাড়ির মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হন মামলার বাদী। এ ঘটনায় পরদিন ১৩ অক্টোবর ভাটারা থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় গতবছর ২৮ মার্চ মামলার তিন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এই দুই আসামি হলো শাহাদত হোসেন, মো. কাউছার হৃদয় ও মো. নবীরুল ইসলাম। এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারাফুজ্জামান আনছারী বেলা ১২টায় দুই আসামি শাহাদত হোসেন ও মো. কাউছার হৃদয়ের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে তিন আসামির বিরুদ্ধে গতবছর ১৯ জুন অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)।
এ মামলায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় আসামি মো. কাউছারকে চলতি বছরের ১৮ আগস্ট এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় শাহাদত হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে। এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে একইসময়ে দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের বিষয়টি ধরা পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।