জুমবাংলা ডেস্ক: ‘সংখ্যালঘু নিপীড়নের’ অভিযোগে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা `একান্তই তার নিজস্ব বক্তব্য, সংগঠনের নয়’ বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রানা দাশগুপ্ত।
ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ওয়াশিংটনে এক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত বুধবার হোয়াইট হাউজে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ওই অভিযোগ করেন প্রিয়া সাহা।
তার বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন।
তার ওই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে আলোচনা। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম ওই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ওই নারী কেন এটা করেছেন তা তিনি খতিয়ে দেখবেন।
আর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, আট মাসের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে যে ধর্মীয় স্বাধীনতা তিনি দেখেছেন তা বিশ্বের জন্য ‘দৃষ্টান্ত’ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি’ শীর্ষক তিন দিনের ওই সম্মেলনের সমাপনীতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনও বক্তব্য দেন।
তার আগে বুধবার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হোয়াইট হাউজে যান।
এর মধ্যে প্রিয়া সাহা বলেন, “প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ আছে। আমার অনুরোধ, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না
“তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু বিচার হয়নি।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানতে চেয়েছিলেন- কারা তার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, জমি কেড়ে নিয়েছে।
উত্তরে প্রিয়া বলেন, তারা মুসলিম মৌলবাদী, তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।
ফেইসবুকে ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও আসার পর প্রিয়ার বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় নানামুখী আলোচনা। অনেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।