জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীতে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার চারজনকে আটক করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মইন উদ্দিন (২০), মাহিন আহম্মেদ (২০), মো. আলম ওরফে ব্রিজ আলম (৩৪) ও হোসনা আক্তার। আলম স্থানীয় ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সোলেমানের ভাগনে। তার বিরুদ্ধে স্টেশন রোডের সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল বুধবার ধর্ষিতার মা পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত শিক্ষার্থীর বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকায়। তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন।
টঙ্গীর মাঝুখান এলাকার বেকারি শ্রমিক মইন উদ্দিন নামের এক ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই ছাত্রীর। প্রেমের টানে গত শনিবার বাড়ির কাউকে কিছু না বলে সন্ধ্যায় টঙ্গীর উদ্দেশে রওনা দেন ওই ছাত্রী।
একইদিন দিনগত রাত দেড়টার দিকে টঙ্গীর মধুমিতা রোডে বাস থেকে নামে সে। এ সময় মইন উদ্দিন, ওমর ফারুক, আলম ওরফে ব্রিজ আলমসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজন ওই ছাত্রীকে মাছিমপুর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওমর ফারুক ও আলমসহ অন্যান্যরা ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে তিনদিন যাবত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ওই মাদরাসা ছাত্রীকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষিত ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।