বিবিসি জানিয়েছে, আফ্রিকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে প্রাণঘাতী এই অসুখের প্রাদুর্ভাবকে কেন্দ্র করে এই ঘোষণা আসলো।
জেনেভাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গিব্রাইয়াসুস এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তবে সীমান্ত বন্ধ করে দেবার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা হয়নি।
এর আগে পশ্চিম আফ্রিকায় ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চলা ইবোলার প্রাদুর্ভাবে এগারো হাজার মানুষের মৃত্যুর পর এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ইবোলা নিয়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেওয়া হয় আরো তিনবার।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে এ পর্যন্ত ১৬০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে।
ইবোলা মূলত একটি ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হলে খুব হঠাৎ করে জ্বর দেখা দেয়। দুর্বল লাগে। মাংসপেশি ব্যথা হতে থাকে। গলায়ও খুব ব্যথা হয়।
এর পরবর্তী ধাপ হল বমি ও ডাইরিয়া। শরীরের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্তপাত হতে থাকে।
সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তির কেটে যাওয়া ত্বক, তার মুখ, নাক, বমি, রক্ত, মল বা শরীরের অন্য ধরনের তরল কোন পদার্থের সংস্পর্শে এলে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। উগান্ডায় ইতিমধ্যে রোগটি কয়েকজনের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে।
রোগটির অবশ্য প্রতিষেধক রয়েছে এবং সেটি ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর। দেড় লাখের বেশি মানুষকে সেই প্রতিষেধক দেয়াও হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জনগোষ্ঠীর সকলকে সেটি দেয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।