কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ৮৫ বছরের বৃদ্ধা বালিয়া বেওয়া। বয়সের ভারে চলাফেরা করতে পারেন না। তবুও এসেছেন ধরলার তীরে। তিনি জানালেন, ‘হামরা মানববন্ধন করার জন্য আসছি ব্যাহে। ধরলা ভাঙিয়া শেষ করি ফেলাইছে। মোর বিয়া হবার ৬০ বছরে ধরলা হামার বাড়িঘর ভাঙছে ১০-১২ বার। শেষ বয়সে একনা শান্তি চাই। ধরলার ভাঙ্গন থাকি হামাক গুলাক বাঁচান।’ এভাবেই জানালেন বৃদ্ধা তার আকুতি।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডল আনন্দবাজার ঘেরুর ঘাট থেকে নবিউলের ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
ধরলা সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের উদ্যোগে এই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত পাঁচ বছরে ওই এলাকার তিন শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এছাড়াও স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর শতশত ঘর-বাড়ি ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ডুবে যায়। নদীর বালু পড়ে নষ্ট হয় ফসলি জমি। এখনও ধরলার তীব্র ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ৫০-৬০ টি পরিবার। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় বক্তব্য দেন, ধরলা সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের সভাপতি ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষার্থী আব্দুস ছালাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, সহকারী শিক্ষক রেদওয়ানুল আলম তাজ , স্থানীয় বাসিদা সফিকুল ইসলাম, ওবাইদুল হক, ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ও বেলাল হোসেন প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।