জুমবাংলা ডেস্ক : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের শুনানি পিছিয়েছে পরবর্তী তারিখ ৬ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ৬ জানুয়ারির আগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। এরআগে ১৩ অক্টোবর তদন প্রতিবেদন দেওয়ার দিন নির্ধারিত থাকলেও সেদিনও তা জমা দেয়নি দুদক। তখন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলো আদালত।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর আদালত ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। দুদক এর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রদীপ কুমার দাশের করা জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করা হয়েছিলো সেদিন।
দুদকের করা মামলার এজাহারে, নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করার জন্য শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপ দাশের শ্বশুর, তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ কর্তৃক অর্জিত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আয়কর রির্টানে আসামি চুমকি কারণের কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেয়া পাঁচটি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে তাও স্বামী প্রদীপ দাশের অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্যেশ্যে ভুয়া ব্যবসা প্রদর্শন করে দেখানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করে দুদক।
এই মামলার আরেক আসামি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণ পলাতক আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।