জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক কারখানার এক তরুণী শ্রমিক (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ফোন করে ডেকে এনে তুলে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন দুই যুবক। তরুণীর অভিযোগ, নির্যাতনকালে অভিযুক্ত ধর্ষকদের সহযোগিতা করেন আরো এক যুবক।
গত ১৩ নভেম্বর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নে সংঘবদ্ধ এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নির্যাতনের শিকার তরুণী অজ্ঞাতপরিচয় যুবকসহ তিনজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।
নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাড়ি পাশের কাপাসিয়া উপজেলায়। তিনি ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পাশের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
অভিযুক্ত ধর্ষকরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলার নালিয়াটেক গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২২), নারায়ণপুর গ্রামের মো. মাহামুদের ছেলে মো. শরিফ (২০) ও অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক। সাদ্দাম হোসেনের বাবার নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো. শরিফকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওই তরুণী জানান, সাদ্দাম হোসেন তাঁর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথা বলতেন। গত ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফোন করে তাঁকে রাজাবাড়ি বাজারের পাশে উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যেতে বলেন। সেখানে পৌঁছামাত্র সাদ্দাম, শরিফ ও অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাযোগে তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। পরে নালিয়াটেক গ্রামে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে নিয়ে সাদ্দামসহ অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাঁর ওপর নির্যাতন চালান। নির্যাতনের পর তাঁকে ফের অটোরিকশায় তুলে দেন তাঁরা (অভিযুক্ত)।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘অভিযুক্ত ধর্ষক শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় যুবকসহ সাদ্দামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।