জুমবাংলা ডেস্ক: অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে লেখক অসীম হিমেলের ৬ষ্ঠ উপন্যাস ‘ধূম্রজালে খেদু মিয়া’। ২২৩ পৃষ্ঠার সিকুয়্যাল ধুম্রজালে খেদু মিয়া উপন্যাসটি অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এটির প্রচ্ছদ করেছেন চন্দন ত্রিমাত্রা। বইমেলায় ৩১নং স্টলে পাওয়া যাবে। মূল্য ৫০০ টাকা হলেও মেলা প্রাঙ্গনে ২০% মূল্য হ্রাসে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও রকমারি ডটকমে অর্ডার করে দেওয়া হচ্ছে ২৫% ডিসকাউন্টে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
এর আগে, একই লেখকের মেজোকুমার: এক সন্ন্যাসী রাজা, মধ্যরাতের অভিযান, জোছনায় নীল আকাশ, খেদু মিয়া ও দূরবীনে ব্যাকবেঞ্চার; নামের ৫টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ধুম্রজালে খেদু মিয়া উপন্যাসটি লেখকের ৪র্থ উপন্যাস খেদু মিয়ার সিকুয়্যাল উপন্যাস হিসেবে এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে।
আসীম হিমেল বলেন, আমার এই উপন্যাসটি আধিভৌতিক হলেও কিছুটা চিকিৎসা নির্ভর কাহিনী। এখানে মূল চরিত্রটা হচ্ছে একজন চিকিৎসক। সমাজের ঘটে যাওয়া কাহিনী নিয়েই গল্প।
তিনি আরো বলেন, ‘বইয়ের উৎসর্গ নিয়ে প্রতিবছর একটা দুঃশ্চিন্তায় কাটে আমার। এইবারও তাই হয়েছে। কাকে দিবো? কাকে দিবো এই অবস্থা। একজন প্রিয় মানুষকে উৎসর্গ করবো বলে ঠিক করেছি, ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটা নীরব ঘটনা ঘটে গেছে। সারাহ ইসলাম নামে একটি মেয়ে ব্রেন ডেথ থাকা অবস্থায় তার দুটি চোখের কর্নিয়া এবং দুটি কিডনি চারজন মানুষকে দান করে গেছেন। যা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ঘটেছে। দান করা কর্নিয়া ও কিডনি অপারেশন করে ৪ জন মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ৪ জন মানুষ নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে থাকে। কতটা বড় মাপের মানুষ হলে এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারে? অচেনা এই পরিবার এবং সাহসী মানবীর দেখিয়ে যাওয়া পথ, আরও অনেক মানুষকে এরকম করে আরেকজনকে বেঁচে থাকার স্বপ্নের পথ তৈরী করে দিয়ে গেছেন। আমি খুব ক্ষুদ্র একজন মানুষ। ক্ষুদ্র একজন লেখক হিসাবে, সেই মহৎ বড় মনের মানবী সারাহ ইসলাম এবং ঐ কার্যক্রমের অংশিদার চিকিৎসকদলকে আমার এই বইটি উৎসর্গ করেছি। মানুষ বেঁচে থাকুক একজন আরেকজনের হয়ে।’
অসীম হিমেল ৫ নভেম্বর গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে বিসিএস (স্বাস্থ্য) এই কর্মকর্তা অর্থোপেডিক কনসালেটেন্ট হিসেবে নিটোৱে কর্মরত আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।