ছেলেটা আমার লেখা ফলো করত। আমাকে অনেক আগে একটা মেসেজও করেছিল। আমার আর দেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি।
এই ছেলে আজ আত্মহত্যা করেছে। মানুষ জন তাকে ম্যানশন করে নানান সব স্ট্যাটাস দিচ্ছে, তাই ভাবলাম ঘুরে আসি ছেলে’টার প্রোফাইল থেকে।
এরপর’ই আবিষ্কার করলাম- ছেলেটা আমার লেখা ফলো করত। মেসেজ বক্সে গিয়ে মেসেজ’টাও পড়লাম।
আপনারা অনেকে’ই আমাকে নানান সময়ে আপনাদের নানান বিষয় নিয়ে লিখেন। আমি চেষ্টা করি মেসেজ গুলো অন্তত পড়ার। সব সময় হয়ত উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আমি অন্তত চেষ্টা করি সব মেসেজ পড়ার।
মাঝে মাঝে হয়ত দুই-একটা টেক্সট চোখ এড়িয়ে যায়। এই যেমন এই ছেলে’র টেক্সট’টা আমার পড়া হয়নি আগে।
এই ছেলে আত্মহত্যা করেছে আজ ভোরে।
ডাক্তার ছেলে, ৩৫ এর মতো বয়েস। ছেলের দেয়া শেষ স্ট্যাটাস অনুযায়ী, সে যাকে ভালবাসত অর্থাৎ তার স্ত্রী দেখতে বেশ সুন্দরী, ভালো পড়ায় এবং গাইতে পারে।
অর্থাৎ ছেলে’র ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটা বেশ স্মার্ট। মানুষজন তাকে এই জন্য পছন্দ করে।
তবে বিয়ের আগে’ই এই মেয়ের অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই ছেলের সঙ্গে মেয়েটা অনেক রাত কাটিয়েছে এইসব জেনেও এই ছেলে তাকে বিয়ে করেছে। কারন বিয়ে ঠিক হবার পর সে এইসব জানতে পেরেছে। তাছাড়া মেয়েটাকে এই ছেলে খুব’ই ভালবাসত।
মেয়েটা তার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল -এমন আর কোন দিন করবে না।
কিন্তু বিয়ের পর যখন মেয়েটা পড়াশুনা জন্য বোধকরি আমেরিকায় গেল, তখন নাকি কোন এক ভারতীয় ছেলে’র সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়েছে, সেই ছেলের সঙ্গেও রাতে থেকেছে ইত্যাদি।
এই সব বিষয় জানার পর এই ছেলে আজ আত্মহত্যা করার আগে বউয়ের বেশ কিছু ছবি আর একটা ভিডিও আপলোড করে এরপর আত্মহত্যা করেছে।
ওই ছবি আর ভিডিও’তে দেখা যাচ্ছে মেয়েটা অন্য ছেলের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় আছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ছেলেটা এইসব ছবি আর ভিডিও পেল কোথায়?
নিশ্চয় মেয়েটা নিজে এইসব তার স্বামীকে দেয়’নি।
তাহলে ছেলে’টা পেল কোথায়?
নিশ্চয় তার আত্মীয়-স্বজন, কাছের মানুষ কিংবা বন্ধু বান্ধব’রাই তাকে এইসব ছবি দিয়েছে।
আত্মীয়-স্বজন, কাছের মানুষ’রা অবশ্য’ই এই সব বিষয়ে সতর্ক করবে, এটা খুব স্বাভাবিক।
কিন্তু তারা কি কেবল তথ্যগুলো’ই দিয়েছে, নাকি সেই সঙ্গে নানান সব মন্তব্যও করত এই ছেলেকে নিয়ে?
এই যেমন- কেমন বউ তোমার? অন্য ছেলের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়?
তোমার কি জোর নাই নাকি? বউ’কে আটকায়ে রাখতে পারো না?
তুমি আবার পুরুষ নাকি? বউ থাকে না ঘরে, তুমি তো পুরুষ নামের কলঙ্ক!
আমি বলছি না, ওর আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব’রা এইসব বলেছে’ই। কিন্তু আমাদের সমাজের ব্যাপার গুলো তো এমন’ই। এটা তো অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
আমি সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র ও শিক্ষক। সমাজ বিজ্ঞানে আত্মহত্যা নিয়ে বড় রকমের পড়াশুনা এবং গবেষণা আছে। আছে নানান তত্ত্বও।
এইসব বিষয় নিয়ে লেখা এবং কথা বলা বোধকরি আমার দায়িত্বে’র মাঝে পড়ে।
ছেলে’টা মৃত্যু’র আগে যেই পোস্ট দিয়েছে, সেই পোস্ট’টা যদি আপনারা ভালো করে পড়ে থাকেন, তাহলে একটা ব্যাপার কিন্তু পরিষ্কার।
ছেলেটা লিখেছে, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে, সবাইকে বিয়ের কার্ড বিলি করে দিয়েছি, সবাই দাওাতও পেয়ে গিয়েছে; এরপর আমি জানতে পেরেছি এই মেয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে রাত কাটিয়েছে কিংবা রাত কাটায়। ছেলেটা এরপর লিখেছে- সমাজ আর আত্মীয়-স্বজনের কথা চিন্তা করে সব কিছু জেনেও বিয়ে করেছি!
অর্থাৎ এই ছেলের কাছে কিন্তু “সমাজ” বিয়ের আগেও একটা বড় ব্যাপার’ই ছিল।
সুতরাং খুব স্বাভাবিক ভাবে বিয়ের পরও যখন মেয়েটা এমন করেছে, তার কাছে হয়ত সমাজ’টাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। সমাজের মানুষ আমাকে কি ভাব’বে ইত্যাদি ইত্ত্যাদি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে “সমাজ” আসলে কি? আর সমাজ আমাদের ব্যক্তি জীবনে আসলে কি দেয়?
এই নিয়ে নানান জটিল তাত্ত্বিক আলোচনা আছে। সেই আলোচনা শুরু করলে লেখাটা জটিল হয়ে যাবে। অনেকের পক্ষে হয়ত বুঝাও সম্ভব হবে না।
এই যেমন ধরুন সমাজ আমাদের বলে- একজন’কে বিয়ে করলে অন্য আরেকজনের সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না।
আসলে সমাজের ঠিক কোন জায়গায় এটা লেখা আছে, কারো কি এটা জানা আছে?
কিংবা ধরুন, আপনি কারো সঙ্গে যদি কমিটেড হন, তাহলে অন্য আর কারো সঙ্গে মিশতে পারবেন না।
তো, সমাজের ঠিক কোন জায়গায় এই ব্যাপার গুলো লিখিত আছে?
তাহলে আমরা এই ব্যাপার গুলো কেন মেনে চলি?
কারন আমাদের নীতি- নৈতিকতা আমাদের বলে এসব মেনে চলতে।
এই নীতি নৈতিকতা তাহলে কারা নির্ধারণ করে দিল?
আবার ঘুরে ফিরে সেই সমাজ!
আবার এক সমাজে যেই বিষয় গুলো নৈতিক, অন্য সমাজে সেটা নৈতিক নাও হতে পারে।
বিয়ের আগে আপনার চারটা গার্ল ফ্রেন্ড ছিল কিংবা পাঁচটা বয় ফ্রেন্ড ছিল এটা ইউরোপে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
এই চার বয় কিংবা গার্ল ফ্রেন্ডের সঙ্গে আপনার যৌন সম্পর্ক ছিল, এটাও ইউরোপে স্বাভাবিক ব্যাপার।
এখন ধরুন আপনার চারটা গার্ল ফ্রেন্ড কিংবা বয় ফ্রেন্ড ছিল, এদের সবার সঙ্গে আপনার যৌন সম্পর্কও ছিল এবং সবার সঙ্গে ব্রেক- আপ হয়ে সপ্তম বারের মতো আপনি প্রেমে পড়েছেন; আপনার এই সপ্তম প্রেমিক কিন্তু জানে, আপনি তার সপ্তম প্রেমিক।
সে এটা জেনেই তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে এবং একটা সময় লিভ-টুগেডার করার পর তারা হয়ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে- আমরা এখন বিয়ে করতে পারি।
এর মানে হচ্ছে, এক সঙ্গে অনেক দিন থাকতে থাকতে তাদের মনে হচ্ছে- আমাদের কেমিস্ট্রি তো ভালো’ই যাচ্ছে, তাই আমরা দীর্ঘ দিনের পার্টনার কিংবা স্বামী-স্ত্রী তো হতে’ই পারি। এরপর হয়ত এরা বিয়েও করে ফেলবে।
তো, এই যে একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে- এরা কিন্তু জেনে শুনেই বিয়ে করছে যে- এদের কারো এর আগে ছয় জন কিংবা সাত জন বয় ফ্রেন্ড-গার্ল ফ্রেন্ড ছিল।
এটা ইউরোপে খুব’ই স্বাভাবিক ব্যাপার। এটাকে সবাই খুব’ই নর্মাল হিসেবেই দেখে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- বাংলাদেশের সমাজে কি এটা সম্ভব?
তবে একটা মজার বিষয় হচ্ছে, এই সব দেশে আপনি যদি কারো সঙ্গে কমিটমেন্টে থাকেন, তাহলে আপনি অতি অবশ্য’ই ওই সময়টায় অন্য আর কারো সঙ্গে জড়াবেন না।
এরা সাধারণত এটা বেশ ভালো ভাবেই মেনে চলে। এরপর যদি আর ভালো না লাগে, তখন হয়ত গিয়ে বলবে- আমার তোমাকে আর ভালো লাগছে না, আমার অন্য কাউকে ভালো লাগছে। আমাদের মনে হয় আলাদা হয়ে যাওয়া’ই ভালো।
এরপর এরা আলাদা হয়ে যায়। অপর সঙ্গী হয়ত কষ্ট পায়। কিন্তু সে এটা বুঝে নেয়- এটাই মেনে নিতে হবে। নইলে জোর করে তো আর সম্পর্ক টিকবে না।
এখন এইটা কি আমাদের সমাজে সম্ভব?
আমাদের সমাজে ডিভোর্স হওয়াট’কেই তো রীতিমত অন্য চোখে দেখা হয়! আর কেউ যদি বিয়ে না করে থাকে, তাহলে সেটাকেও অন্য চোখে দেখা হয়!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- জগতের সব মানুষ কি এক রকম?
বায়োলজিকালি’ই তো আমরা সবাই এক রকম না।
সুতরাং আমাদের স্বাদ, চাহিদা কিংবা ভালোলাগা, ভালোবাসা ভিন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক।
আপনার হয়ত একজন মানুষ’কে আজীবন ভালো লাগতে পারে কিংবা আপনি হয়ত একজন মানুষ’কে আজীবন ভালোবাসতে পারেন।
কিন্তু সবার যে সব সময় একজন মানুষকে ভালো লাগবে, এমন তো না।
কিন্তু আমাদের দেশে “সমাজ” বলে কিছু একটা থাকাতে, আমরা সাধারণত ভালো না লাগলেও মানিয়ে চলার চেষ্টা করি বা করে এসছি।
বিশেষ করে আমাদের দাদা-দাদী, নানা-নানী, কিংবা বাবা-মায়েরা সেটা মেনে চলেছেন।
তাদেরও হয়ত জীবনের মাঝপথে কাউকে ভালো লেগেছিল, কিন্তু সেই ভালো লাগাকে তারা প্রাধান্য দেয়’নি কিংবা দেয়ার সাহস হয়নি।
কারন তাদের “সমাজ” হয়ত আরও বেশি কঠোর ছিল, এই সব বিষয়ে।
এই যেমন ধরুন প্রেম-ভালোবাসা করে দিব্যি ঘুরে বেড়ানো কিংবা বলে বেড়ানো তো আমাদের “সমাজে” কিছুদিন আগেও অস্বাভাবিক ছিল।
এখন কি আছে?
এখনকার ছেলে-পেলে’রা তো “বিএফ” , “জিএফ” কিংবা “ব্রেক-আপ” শব্দ গুলো উঠতে বসতে’ই ব্যাবহার করে।
আমি যখন বেড়ে উঠছি, এমন কি তখনও তো এইসব চিন্তা’ই করা যেত না।
আর আজকাল তো দেখি ছেলে-পেলে’রা ভিডিও বানিয়ে নিজেদের প্রেম, ভালোবাসা এমনকি লিভ টুগেদারের কথা নিজেরাই বলে বেড়ায়।
ব্যাপারটা হচ্ছে, আমাদের সময় “সমাজ” খুব আস্তে এবং ধীর গতিতে এগিয়েছে। যার কারনে যে কোন পরিবর্তনের ব্যাপারে আমরা খানিক প্রস্তুত ছিলাম।
কিন্তু পৃথিবী তো আর এক জায়গায় আঁটকে নেই।
যার কারনে “সমাজের” পরিবর্তন’টাও খুব দ্রুত’ই হচ্ছে।
আমরা যা ভাবতে পারছি না, তাই ঘটে যাচ্ছে!
বাংলাদেশের সুন্দরবনে বসে ছেলেটা কিংবা মেয়েটা এখন ইউরোপ-আমেরিকার সিনেমা দেখছে, তাদের সংস্কৃতি দেখছে প্রতিনিয়ত।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এমন কি দেশের সেই রাজ মিস্ত্রী আমেরিকার মহিলার সঙ্গে প্রেম করে বসেছে। সেই মহিলা আবার দেশেও চলে গিয়েছে।
দেশের ছেলেরা কিংবা মেয়েরা এখন সবাই অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে, নিজেরা চাকরী করছে।
আর আপনি যখন অর্থনৈতিক ভালো স্বাবলম্বী হবেন, তখন আপনি চাইবেন আপনার মতো করে বেঁচে থাকতে। আপনি চাইবেন নিজের ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে।
আমাদের বাবা-মায়েরা হয়ত নিজেদের ইচ্ছে-অনিচ্ছা গুলো বিসর্জন দিয়ে স্রেফ সমাজ আর পরিবারের কথা ভেবেছে।
কিন্তু দিন তো বদলাচ্ছে দ্রুত’ই!
তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি’র ফলে পৃথিবীর নানান সংস্কৃতির সঙ্গে এখন আমাদের ছেলে-মেয়েরা মিথস্ক্রিয়া করছে, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হবার ফলে তারাও চাইছে তাদের মতো করে নিজের জীবন’কে চালিয়ে নিতে।
যার ফলে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।
আমরা আর্থিক ভাবে দ্রুত স্বাবলম্বী হচ্ছি, তথ্য প্রজুক্তির উন্নতির ফলে অন্য সংস্কৃতি গুলো’র সঙ্গে আমাদের দ্রুত পরিচয় ঘটছে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বও হচ্ছে কিন্তু আমাদের হাজার বছরের প্রচলিত সংস্কৃতি তো দ্রুত বদলাচ্ছে না।
কিংবা আমাদের মাইন্ডও হয়ত সেভাবে সব পরিবর্তন’কে নিতে চাইছে না।
যার কারনে এতো সব সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এর মানে আমি বলতে চাইছি না- আমাদের সমাজের জন্য লিভ-টুগেডার ভালো কন্সেপ্ট কিংবা বিয়ের আগে হাজার’টা সম্পর্ক থাকাও আমাদের সমাজে স্বাভাবিক।
আমি কেবল পুরো ব্যাপার’টা সমাজ বিজ্ঞানের ভাষায় তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
একটা মেয়ে অন্য ছেলে’র সঙ্গে বিয়ের আগে ঘুরে বেড়ালে, তাকে বিয়ে করা আমাদের সমাজ ভালোচোখে দেখে না!
সাংস্কৃতিক একটা দ্বন্দ্ব আমাদের মাঝে তৈরি হয়েছে।
সেই মেয়েটা’ই যদি বিয়ের পরও অন্য কারো সঙ্গে মেলামেশা করে, তখন আবার হয়ত দোষ হয় ছেলে’টার!
আমরা গিয়ে প্রশ্ন করি
-কেমন মেয়ে বিয়ে করলা?
-জোর নাই তোমার মিয়া?
-বউ থাকে না ঘরে, তুমি তো পুরুষ নামের কলঙ্ক!
আমাদের বুঝতে শিখতে হবে, বউ যদি অন্য কোন ছেলে’র সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়, সেখানে স্বামী’র কোন দোষ নেই। সেই স্বামী’কে এসব বলা যাবে না!
আমি বুঝতে পারছি, এই ছেলে’টা তার স্ত্রী’কে খুব ভালবাসত, সে তার মৃত্যু’র আগে লিখেছে – “চলে যাচ্ছি ভালোবাসা, তুমি তোমার প্রেমিকদের নিয়ে ভালো থেকো!”
তার এই আত্মহত্যা’র জন্য এই মেয়েটা, তার প্রচণ্ড ভালোবাসা কিংবা আবেগের যেমন দায় আছে, তেমনি পুরো সমাজ ব্যবস্থারও দায় কম না!
“সমাজের” ভয়টা যদি না থাকতো, তাহলে এই ছেলেটা হয়ত শেষমেশ এই মেয়ে’কে বিয়ে’ই করত না। বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক, সবাইকে নিমন্ত্রণ জানানোর পর যখন সে অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনেছে, তখন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে! “সমাজের” কথা চিন্তা করে সে এই মেয়েকে এতকিছুর পরও বিয়ে করেছে।
আবার না “সমাজ” বলে বসে- নিশ্চয় কোন সমস্যা আছে! নইলে বিয়ে ভাঙল কেন!
মানুষের জন্য সমাজ। সমাজের জন্য মানুষ না।
যেই সমাজ মানুষ’কে বেঁচে থাকতে শেখায় না, তিলে তিলে মরতে শেখায়, সেই সমাজের সেকল ভাঙাও বোধকরি আমাদের দায়িত্বের মাঝে’ই পড়ে।
(আমিনুল ইসলাম, লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।