জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বনভোজনের নির্ধারিত ৪শ টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে না পারায় ১৮ শিক্ষার্থীর হাতে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ছাড়পত্র ধরিয়ে দিলেন প্রধান শিক্ষক।
বুধবার দুপুরে পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী গত ১০ ফেব্রুয়ারী সোমবার দেশের নারী জাগরনের অগ্রপথিক মহিয়ষী নারী বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত রংপুরের পায়রাবন্দরে বনভোজনের আয়োজনের পাশাপাশি দুদিন ছুটি ঘোষনা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৪শ টাকা করে চাঁদা নির্ধারন করা হয়। বিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে দরিদ্র বিত্তহীন পরিবারের ১৮ শিক্ষার্থী চাঁদার এই টাকা জোগাড় করতে না পারায় তারা বনভোজনে অংশ নিতে পারেনি।
বনভোজনের ছুটি শেষে বুধবার ওই ১৮ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তাদের প্রত্যেকের হাতে ছাড়পত্রের নোটিশ তুলে দেন। তাদের মধ্যে ৬ষ্ঠ শ্রেণির-৫, ৭ম শ্রেণির-২, ৮ম শ্রেণির-৭ ও ৯ম শ্রেণির-৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
যাদের মধ্যে আতিক, রাকিবুল, লিটন, মুনকার নাঈম ও রবিউল নামে ৫ শিশু সবে মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণির দরিদ্র পরিবারের এসব শিশু শিক্ষার্থী সাদাকালো অক্ষরে লেখা এ ছাড়পত্রের মর্মার্থ না বুঝলেও এ ঘটনায় হতবাক এসব কোমলমতী শিশুর অভিভাবকরা ও এলাকার সচেতন মানুষ।
বহিস্কৃত শিক্ষার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেণির আতিকের অভিভাবক মতিউর রহমান ও একই শ্রেণির রাকিবুল ইসলামের অভিভাবক রেজিনা বেগম বলেন, তাদের সন্তানরা চাঁদা দিতে না পারায় বনভোজনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বহিষ্ককৃত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বখাটে ছেলেদের সাথে নিয়ে তিনটি মাইক্রো বাসে করে আমাদের সারাদিন অনুসরণ ও বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বনভোজনে অংশ গ্রহণকারী ছাত্রীদের উত্তপ্ত করায় ওই ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
১৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মতামত নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, তিনি ঢাকায় থাকায় তার মতামত নেয়া হয়নি। তবে, সভাপতি ছাড়া বনভোজনে অংশ নেয়া বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যের পরামর্শে ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনার বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মেরাজুল ইসলাম বলেন, বহিষ্ককৃত শিক্ষার্থীরা পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র নিকট বিচার চেয়ে আবেদন করেছে। এর একটি অনুলিপি আমি পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিন্ধান্ত ছাড়াই তিনি নিজস্ব প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা। সূত্র : আমাদের সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।