জুমবাংলা ডেস্ক : সমুদ্রে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর প্রভাবে উপকূলজুড়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি থাকলেও বরগুনায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি দিনভর। দিনভর বরগুনায় গুমোট ভাব থাকলেও আকাশে কখনও দেখা যাচ্ছিল ঘনকালো মেঘ আবার কখনও সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য।
মঙ্গলবার (১৯ মে) সন্ধ্যার পরও বরগুনা আকাশে মেঘের আড়ালে মিটমিট করে জ্বলছিল তারকা। কিন্তু রাত ৯টা বাজতেই পাল্টে গেছে বরগুনার আবহাওয়ার চিত্র। থেমে থেমে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
বরগুনার পাথরঘাটায় অবস্থানরত সাংবাদিক জাফরুল হাসান রুহান বলেন, পাথরঘাটায় দিনভর আবহাওয়ায় গুমোট ভাব ছিল। কিন্তু রাত ৯টার দিকে পাথরঘাটায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কখনও থেমে থেমে আবার কখনও একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে।
বরগুনা পৌরসভার কেজি স্কুল রোডের বাসিন্দা আশিক আহমেদ বলেন, সারাদিন বরগুনার আবহাওয়া ভালো ছিল। কিন্তু রাত ৯টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাতাস বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ঘণ্টায় ২২৫ থেকে ২৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে। উপকূলে আঘাত হানার পর এর বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উপকূলে ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।