স্পোর্টস ডেস্ক : প্রত্যাশিত জয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বপ্নীল যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের এই জয়ের অন্যতম নায়ক তপু বর্মণ। তার একমাত্র গোলেই কাঙ্খিত জয়ের দেখা পায় অস্কারের শিষ্যরা। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারায় খুশি এই ডিফেন্ডার।
মালদ্বীপে ১ অক্টোবর (শুক্রবার) ম্যাচ শেষে এক সাক্ষাৎকারে নিজের খুশির বলেছেন তপু বর্মণ। তবে এই ধারাবাহিকতা সাফের বাকি ম্যাচ গুলোতে ধরে রাখতে পারলেই কেবল নিজেকে সফল মনে করবেন তিনি।
তপু বলেন, ‘জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারায় ভালো লাগছে। তবে আমাদের আরও তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। আর তাই বাকি ম্যাচগুলোতে একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবো আমরা।’
একজন ডিফেন্ডার হয়েও বাংলাদেশের বর্তমান স্কোয়াডের সর্বোচ্চ গোলদাতা তপু বর্মন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দলের যখন যেখানে প্রয়োজন হয়, আমি সেখানেই খেলি। আমার সবসময় লক্ষ্য থাকে দলকে জেতানো। এটা দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রমের কারণেই হয়েছে।’
সাফ যাত্রা শুরুর আগে দুটি গোল করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তপু। প্রথম ম্যাচেই আরাধ্য গোলের দেখা পাওয়ার পর আগামী ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে নামবে তপু বর্মণরা। এ ম্যাচে পারবেন কি নিজের ইচ্ছাপূরণ করতে? দেখা যাক।
এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার (১ অক্টোবর) মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়ামে জামাল ভূঁইয়ারা জয় পেয়েছে ১-০ গোলে। বেশ কয়েকটি জোরাল আক্রমণ করলেও গোলশূন্যভাবেই ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট অতিবাহিত হতে না হতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন তপু বর্মণ।
প্রথম ম্যাচেই টুর্নামেন্টে টিকে থাকা না থাকার হিসেব কষা হয়ত সমীচিন না। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পরাজয়ের সমীকরণে নির্ভর করছিল বাংলাদেশের সাফ ভবিষ্যৎ। এমন অদৃশ্য চাপে খেলতে নেমে শুরুতে কিছুটা ছন্নছাড়া ফুটবলের মধ্যে ছিল লাল -সবুজরা। যদিও দ্রুতই নিজেদের গুছিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
খেলা মালদ্বীপে হলেও দেখে বুঝার উপায় নেই যে এটি বাংলাদেশ নয়, গ্যালারিতে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে শত শত ফুটবলপ্রেমী। সে কারণেই হয়তো অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা বাড়তি উদ্দীপনা পেয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বারপোস্টে শটের হিসাবে এগিয়েছিল জামাল বাহিনী। অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা লক্ষ্যে চারটি শট নিলেও শ্রীলঙ্কাকে ডিফেন্ডাররা এ ধরনের কোনো সুযোগই দেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।