জুমবাংলা ডেস্ক : ‘বাংলাদেশে আজ, এক্ষুনি তথাকথিত লকডাউন তুলে নেওয়া উচিত। এই সাধারণ ছুটি/লকডাউন দিয়ে কোনো লাভ হয়েছে? একেবারেই হয়নি।
ফাঁক তালে মানুষের জীবিকা ধ্বংস হয়ে গেছে। যাদের বাসায় বসে বসে খাবার সামর্থ্য আছে তারা নিজেরাই আরও এক বছর লকডাউনে থাকুক আর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিক।
একদিকে মানুষের আয় নেই, অন্যদিকে মানুষের পকেট কাটা চলছে। তথাকথিত লকডাউনকে ব্যবহার করে চলতি মাসের বিদ্যুৎ-পানির বিল দ্বিগুণ এসেছে।
মানুষ কোথা থেকে দেবে এই টাকা? ফেরিঘাট এবং ব্যাংকে মানুষের ভিড়ের ছবি দেখিয়ে এক শ্রেণির মানুষ হায় হায় করছে। এত আহাজারি করে লাভ নাই। এটা হবেই।
ব্যাংকের কাজ যদি স্বাভাবিকভাবে চলতো তাহলে তো এত ভিড় হতো না। আট ঘণ্টার পরিবর্তে চার ঘণ্টা কাজ হলে এত ভিড় হবেই।
যদি স্বভাবিক নিয়মে চলতো তাহলে একসাথে এতো মানুষের ভিড় করার প্রয়োজন হতো না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকিও কম হতো। হয়তো ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ করুন, নয়তো সবকিছু চালু করুন।
১০টা পরিরহনের জায়গায় দুইটা চললে মানুষ তো উপচে পড়বেই। সাধারণ মানুষকে দোষারোপ করে লাভ নেই। কেউ শখ করে মহাসড়কে যাতায়াত করছে না।
গাবতলি থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আগে যেতে খরচ হতো একশ থেকে দেড়শ টাকা। লকডাউনের সময় খরচ হচ্ছে পাঁচশ থেকে সাতশ টাকা।
তারপরেও আপনাদের কি মনে হয় যে মানুষ শখ করে যাচ্ছে? কতদিন লকডাউন চললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? বলতে পারেন? প্রথমে বলা হয়েছিল, এপ্রিল মাসে হবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ।
এরপর বলা হলো, মে মাসে বেশি হবে। এখন বলা হচ্ছে, জুন মাসে বেশি হবে। জুন মাসের শেষে গিয়ে হয়তো বলবে জুলাই মাসে! তাহলে কতদিন চলবে এই তথাকথিত লকডাউন? বিষয়টি আপনারাই ভেবে দেখুন।’
লেখক: আকবর হোসেন, সাংবাদিক, বিবিসি বাংলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।