কক্সবাজারের রামু উপজেলার এক যুবকের সাথে বিয়ে ঠিক হয় সদরের পিএমখালীর নয়াপাড়া এলাকার তরুণী সুমাইয়া আক্তার সুখীর (১৮)। সে অনুযায়ী বাগদানও সম্পন্ন হয় বর-কনের মাঝে। কিন্তু হঠাৎ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে বসে তরুণী। বাগদানকৃত পাত্রকে রেখে রাতের আধারে গোপনে চম্পট দেয় দীর্ঘদিনের পুরোনো প্রেমিকের হাত ধরে।
জানা যায়, প্রেমিক মুফিজ সম্পর্কে তরুণীর আপন জেঠাতো ভাই। এঘটনায় পাত্র পড়েছেন সামাজিক বিড়ম্বনায়। মানহানি ও আর্থিক ক্ষতিসাধনের ফলে বর এখন দিশেহারা।
দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে অন্যত্রে বিয়ে হওয়ার যাওয়ার যে বিরহ তা সইতে না পেরে প্রেমিক আপন জেঠাতো ভাইয়ের হাত ধরে রাতের আঁধারে সবার অগোচরে পালিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্বজনরা। এছাড়াও তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাতক কনে সুমাইয়ার মা নিজেই।সুমাইয়া সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজার দক্ষিণ নয়াপাড়া এলাকার প্রবাসী সিরাজুল হকের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়ার সাথে রামু উপজেলার চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকার এক যুবকের সাথে বিয়ে ঠিক হয় গত ২ মে (রবিবার)। দুই পরিবার এবং যুবক-যুবতীর সম্মতিতে এনগেজমেন্টও সম্পন্ন করা হয়। এরপর থেকে নতুন বরের সাথে নিয়মিত কথা হতো সুমাইয়ার। কিন্তু এনগেজমেন্টের ২৮ দিনের মাথায় ৩০ মে সবার অগোচরে তার জেঠা মুক্তার আহাম্মদের ছেলে মুফিজের সাথে রাতের আঁধারে নিরবে পালিয়ে যায় সুমাইয়া।
তবে সুমাইয়া, পালিয়ে যাওয়ার সময় তার বাগদানকৃত বরের দেয়া কোনো উপহার বা মুল্যবান পণ্য সামগ্রী সাথে করে নিয়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন সুমাইয়ার মা।
এঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি দুই পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এনগেজমেন্ট হওয়া যুবকটি।
সুমাইয়ার মা বুলবুল আক্তার বলেন, মেয়েটা যার সাথে চলে গেছে সে আমার আত্মীয় হিসেবে প্রতিনিয়ত বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো, কিন্তু তার সাথে আর আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা ভুলেও বুঝতে পারিনি। যদি মেয়েটি আমাকে বিষয়টা খুলে বলতো হয়তো অন্য একটা ছেলের জীবন এভাবে নষ্ট করতাম না। মেয়েটা আমাকে খুবই লজ্জায় ফেলে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী বর অসহায় চিত্তে জানান, সুমাইয়া তার সাথে চরম অন্যায় কাজ করেছে। মেয়েটির বিয়েতে অমত থাকলে সে এটা খুব সহজেই জানাতে পারতো। এনগেজমেন্টের পরও আমি তার প্রতি যথাযত সম্মান রেখে বিষয়টি মিমাংসা করতে পারতাম। সবার সামনে হাসিমুখে বিয়েতে রাজি হওয়ায় আমিও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বিভিন্নভাবে টাকা জোগাড় করে আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াতও করেছি। ইতিমধ্যে বিয়ের আনুসাঙ্গিকতায় আমার ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। এই মুহুর্তে তার এমন সিদ্ধান্ত আমাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। সাথে আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হুদা মেম্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি এমন কান্ড ঘটেছে, তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দুজনেই যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক তারা যদি তাদের প্রেমের সম্পর্কটা খুলে বলতো একটা সুরাহা করা যেতো। এখন যা হয়েছে সেটা বিয়ে ঠিক হওয়া ছেলেটার জন্য খুবই অপমানজনক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।