স্পোর্টস ডেস্ক : বাবা মানেই এমন এক শক্ত খুঁটি, যার ওপর পাহাড়সম দায়িত্ব। আর তিনি সন্তানদের পরম নির্ভরতার ছাউনি। বাবা শুধু তার নিজের স্বপ্নের বাহক-ই নন, তাকে পরম মমতা ও যত্নের সঙ্গে লালন করতে হয় পরিবারের প্রতিটি স্বপ্নকে।
আর বাবার স্বপ্ন? হ্যাঁ সন্তান যদি বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই, গর্বে বুক ফুলে যায় বাবাদের। সেই দলের সদস্য হওয়ার পথে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল। তার ছেলে নামির ইকবাল খান হাঁটছেন বাবার দেখানো পথে। বাবা যেমন ব্যাট-বল নিয়ে দেশের পতাকা উড়িয়েছেন, নামিরও একই স্বপ্ন লালন-পালন করে বড় হচ্ছে।
‘যেমন বাবা তেমনি ছেলে’– আয়োজনের প্রথম পর্বে আজ নাফিস ইকবাল ও নামির ইকবালের গল্প জানাবো।
চট্টগ্রামের বিখ্যাত ইকবাল পরিবারের সবচেয়ে ছোট ক্রিকেটার নামির ইকবাল খান। বাবা নাফিস ইকবাল জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে। চাচা তামিম ইকবাল খান বিশ্ব ক্রিকেটের বড় সুপারস্টার এবং বর্তমানে জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। দাদা ইকবাল খান ছিলেন চট্টগ্রামের বিখ্যাত খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক। তার ব্যাট থেকে আসে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি।
তাইতো নামিরের ক্রিকেটারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া বিস্ময়কর কোনো ঘটনা নয়। বরং নাফিস উছ্ছ্বাস নিয়ে বললেন, ‘যদি ও ক্রিকেটার না হয়ে অন্য কিছু হতে আগ্রহ প্রকাশ করতো তাহলে বিস্ময়কর ঘটনা হতো।’ পারিবারিক ঐতিহ্যর কথা মনে করিয়ে নাফিস বলেন, ‘আমার আব্বা থেকে শুরু করে চাচারা প্রায় সবাই কিন্তু কম-বেশি ক্রিকেট খেলতেন। প্রত্যেকেই ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমাদের বাসার পরিবেশ এমন…ছোট একটু জায়গা সেটা ড্রয়িং রুম হোক বা বারান্দা, আমরা সবাই সেখানে খেলা শুরু করে দেই। জাতীয় পর্যায়ে আমি খেলেছি। ওর চাচা তামিমকে দেখছে। এ জন্য ওর উৎসাহ থাকাটা একেবারেই স্বাভাবিক।’
দর্শক হিসেবে নাফিস ছেলের ব্যাটিং উপভোগ করেন। কিন্তু বাবা নাফিসের মনে ক্ষণে ক্ষণে আসে দুশ্চিন্তা! সেটা কেন? জানালেন নাফিস নিজেই, ‘নিজে খেলার থেকে যখন ওকে খেলতে দেখি একটু দুশ্চিন্তা কাজ করে। এটা তামিমের সময়ও কাজ করে। আগেও করতো এখনও করে। নামিরের ক্ষেত্রেও তাই। আমার নিয়ন্ত্রণে না থাকায় টেনশন আসে চলে আসে। ওর ব্যাটিং তো আর আমি করে দিচ্ছি না। এজন্যই চিন্তা আসে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।