জুমবাংলা ডেস্ক : গত ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এদিকে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ নন। এ কারণে দলের সব কার্যক্রম এখন তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই চলছে। দেশে করোনা বিস্তারের পর গত ২৫ মার্চ আকস্মিক খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর তার ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে স্থায়ী জামিন ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনও করা হয়েছে। স্থায়ী জামিন পেলেও তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবেন না। কারণ তার জামিন শর্তে তা বলা আছে।
ধারণা করা হচ্ছে, খালেদা জিয়া হয়তো সক্রিয় রাজনীতিতে আর নাও ফিরতে পারেন। তাহলে দলটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।
লন্ডন থেকে তারেক জিয়া দল চালালেও ঢাকায় তার ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি কে হবেন তা নিয়ে দলের ভেতরে নানা আলোচনা আছে। কখনো শোনা যায় তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরে স্বামীর নির্দেশনা অনুযায়ী দল চালাবেন। আবার কখনো তাদের কন্যা জাইমা রহমান দেশে আসবেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়।
রাজনৈতিক নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ৪২ বছর অতিক্রম করেছে দলটি। এর মধ্যে অনেক বাধা এসেছে, একাধিকবার দল ভেঙেছে। তার পরও দেশের অন্যতম বৃহৎ দল হিসেবে টিকে আছে বিএনপি।
তবে দলের সিনিয়র নেতারা চান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দল পরিচালিত হোক; অন্তত আগামী নির্বাচন পর্যন্ত। কারণ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের মানসিক দূরত্ব আছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কয়েকজন সিনিয়র নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধও করেছেন।
দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান চান খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। তিনি আপাতত লন্ডনেই থাকুন। দলের কার্যক্রম তারেকের নেতৃত্বে যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে। অর্থাৎ দলের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি হিসেবে এখন থেকে তার নেতৃত্বে দল পরিচালিত হোক।
দলটির নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল পুনর্গঠনের কথা বললেও পকেট কমিটি ছাড়া তেমন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখা যাচ্ছে না। লম্বা সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির নেতৃত্বের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও বারবার হতাশা সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে না পারার মূল কারণ নিরপেক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাব।
তবে তারেক রহমানের স্ত্রী বা কন্যা রাজনীতিতে এলে তা স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করবেন সিনিয়র নেতারা। তারা মনে করেন, নানা কারণে তারেকের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া কঠিন। ‘স্বাভাবিক অবস্থায়’ তার দেশে ফেরার সম্ভাবনাও নেই। এতে দেশে দলের অভ্যন্তরে এক ধরনের নেতৃত্ব সংকট তৈরি হতে পারে। তাই খালেদা জিয়ার পাশাপাশি থেকে তারেক রহমানের স্ত্রী বা কন্যাকে নেতৃত্বে আনা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।