জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ও চার্জ গঠনের প্রতিবাদে এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।
তবে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সুধারাম থানার পুলিশ। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ জনের আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শনিবার সকাল ১০টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পৌর বাজারের সামনে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের পেছন দিক থেকে লাঠিচার্জ শুরু করে। তখন ছাত্রদলের হারুন ভূঁইয়া শাহাদাত, যুবদলের সোহাগ, মনিরসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে আটক করে।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল নোয়াখালীর প্রতিটি উপজেলার সোমবার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে এতে জানানো হয়।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তবে জেলা সাধারণ সম্পাদককে আটকের কথা নিশ্চিত করে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, তারা মিছিলের কোনো অনুমতি নেয়নি। তাছাড়া তারা মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করেছে। তবে কোনো ধরনের লাঠিচার্জ করেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সত্য না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।