আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাছে ঝুলছে একজনের মরদেহ। সেভাবেই কেটে গেছে প্রায় আট মাস। অবশ্য ম*রদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মর্গ থেকে ম*রদেহ ফেরত নিয়ে আসার পরেও সৎকার করা হয়নি।
সম্প্রতি ওই ম*রদেহের সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয়েছে খাটিয়া। কিন্তু তার পরেও গাছ থেকে নামানো হয়নি ম*রদেহ। খাটিয়াসহ গাছ থেকে ঝুলছে ম*রদেহ।
জানা গেছে, পুলিশ আ*ত্মহত্যার কথা বললেও নি*হতের পরিবারের দাবি এটা হ*ত্যাকাণ্ড। সে কারণে মাসের পর মাস গ্রামে প্রবেশের মুখে বড় গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ম*রদেহ। এমনকি পুলিশের তদন্তের ওপর আস্থা নেই বলে ম*রদেহ সৎকার করতে রাজি নয় নি*হতের পরিবার।
গত বছরের ডিসেম্বরে ২২ বছর বয়সী ভাটিয়া গামারের ঝু*লন্ত ম*রদেহ দেখা যায় গাছটিতে। ময়নাতদন্তের পর থেকে আবারো তার ম*রদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
ভারতের গুজরাটের সাবরকাঁথা গ্রামের ওই ঘটনায় নি*হতের পরিবারের দাবি, ওই যুবক এক মেয়েকে ভালোবাসত। সেই মেয়ের পরিবারের লোকজন তাকে খু*ন করেছে। পুলিশ মামলা নিষ্পত্তি করে দিলেও সুবিচারের দাবিতে অনড় পরিবার।
সে কারণে ঝুলন্ত ম*রদেহের সামনেই চলছে যাতায়াত। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে দেহে পচন ধরছে। বর্ষাও চলে এসেছে। সে কারণে দেহটিকে খাটিয়ায় শুইয়ে রাখা হয়েছে, তবে সেটা গাছে ঝুলিয়েই।
গামারের এক আত্মীয় বলেন, এটা খু*নের মামলা, আ*ত্মহত্যা নয়। সে কারণে সৎকার করে দিলে তার আত্মা শান্তি পাবে না।
ডেপুটি পুলিশ সুপার ভারত বরোত বলেন, ওই যুবকের পরিবারকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি এটা আ*ত্মহত্যা। কারণ ময়নাতদন্ত সেটাই বলছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবার আবারো ঝুলিয়ে দিয়েছে ওই ম*রদেহ।
প্রসঙ্গত, গুজরাটের আদিবাসী এলাকায়, বিশেষ করে পোশিনা, খেদরাহমা, ভাদালি ও বিজয়নগরে চাডোতারু নামে একটি প্রথা রয়েছে। এই প্রথায় অস্বাভাবিক মৃ*ত্যু হলে অভিযুক্তকে অর্থ দিতে হয়, এর পর মৃ*ত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন ও গ্রামের মাতব্বরদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় সেই অর্থ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।