জুমবাংলা ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরে উপকূলে বইছে তীব্র তাপদাহ। প্রচন্ড গরমে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মানুষ। বৃষ্টিহীন দীর্ঘ খরায় শুকিয়ে গেছে খাল-বিল। কৃষকরা করতে পারছেন না চাষাবাদ। সবচেয়ে বড় বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক। তাই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আল্লাহর দরবারে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নীলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৃথকভাবে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে কৃষক থেকে শুরু করে এলাকার শতাধিক মুসুল্লী অংশ গ্রহণ করেন। এসময় তারা সবাই পরিধেয় পোশাক এবং টুপি উল্টো করে দুই রাকাত নামাজ করেন।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ গ্রামের কৃষক ফরিদ মৃধা জানান, বর্তমানে আমনের মৌসুম শেষের দিকে। এই মুহূর্তে বৃষ্টি না হলে আমরা চাষাবাদ করতে পারবো না। তাই আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে আমরা নামাজ আদায় করেছি। নীলগঞ্জ গ্রামের অপর কৃষক রহিম খান জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় খাল, বিল ও মাঠ-ঘাট শুকিয়ে গেছে। আমাদের চাষবাদ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া মৌসুমী সবজিও চাষ করতে পারছি না। তাই আল্লাহ যেন আমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন, সে কারণেই আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি।
মধ্য নীলগঞ্জ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস আকন জানান, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এই নামাজ আদায় করেছিলেন। এটি মূলত নফল নামাজ। দেশে বালা-মসিবত ও অনাবৃষ্টির কারণে আমরা এই নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহ চাইলে রহমতের বৃষ্টি হতে পারে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে উজেলার ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের শুরডুগি গ্রামে এবং ধুলাসার ইউনিয়নের চর চাপলি গ্রামের বৃষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন শত শত ধর্মপ্রান মুসল্লী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।