স্পোর্টস ডেস্ক: ফিল্ডিং সম্রাট সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার জন্টি রোডসের মতে, ভারতের অন্যতম সেরা ফিল্ডার ছিলেন সুরেশ রায়না।
ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি নেতৃত্বাধীন থাকা অবস্থায় জাতীয় দলে নিয়মিত সদস্যও ছিলেন রায়না। কিন্তু এখন সেসব অতীত। ২০১৮ সালের পর আর নীল জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
বর্তমান আইপিএল ছাড়া সামনে আর কোনও দরজাই খোলা নেই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রায়নার। কিন্তু আইপিএল আর বছরে কদিন! তাই লকডাউনের মাঝে এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবদার করলেন তিনি।
ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিশ্বের আর কোনও বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পান না। প্রতিটা ক্রিকেটারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তরফ থেকে।
অর্থাৎ, জাতীয় দলে অনিয়মিত সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের আইপিএল ছাড়া আর কোনও টি-২০ লিগে খেলার সুযোগ নেই। বছরের বেশিরভাগ সময়টাতে বাড়িতে বসেই কাটাতে হয় তাদের। ৩৩ বছর বয়সী রায়নাও তাদের মধ্যে একজন।
আর তাই রায়না এবার বোর্ডের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, আইপিএলের বাইরেও অন্তত দুইটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে যেন তাদের খেলার অনুমতি দেওয়া হয়। বিসিসিআই তার আবদারে সাড়া দেবে কি না এবার সেটাই দেখার বিষয়।
রায়নার যুক্তি, অন্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেললে তাদের সামনে নতুন কিছু শেখার সুযোগ বাড়বে। তাছাড়া অন্য দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিজেদের সামর্থ যাচাই করেও দেখতে পারবেন তার মতো ক্রিকেটাররা।
ইনস্টাগ্রাম লাইভ আড্ডায় ইরফান পাঠানের সঙ্গে বসেছিলেন রায়না। সেখানে তিনি বলেন, আমি, ইউসুফ পাঠান, রবিন উথাপ্পার মতো অনেক ক্রিকেটার বিদেশে খেলতে গেলে কিছু শিখতে পারব। বোর্ড আমাদের অন্তত দুটি বিদেশি লিগে খেলার অনুমতি দিলে ভাল হয়। আমরা এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেই। বিগ ব্যাশ, সিপিএল’এর মতো টুর্নামেন্টে আমরা কোয়ালিটি ক্রিকেট খেলতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে আইপিএলের কোনও দলের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ নেই। অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রা বিদেশি লিগে খেলতে পারে। এমনকি অনেকে এসব লিগ খেলে জাতীয় দলেও ফিরেছে। আমরা আইপিএল খেলি ঠিকই। কিন্তু জাতীয় নির্বাচকদের কাছে ৪০-৫০ জনের একটা তালিকা রয়েছে। তারা মনে করেন, এর বাইরে কোন ভাল ক্রিকেটার নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।