জুমবাংলা ডেস্ক : শিশু ইকরামের লাশ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ। সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রামে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজের একদিন পর শুক্রবার সকালে ইকরাম হোসেনের (৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
ইকরাম হোসেন জয়পুরহাট পৌরসভার কর্মচারী সমিতির সদস্য ও চকশ্যাম গ্রামের এনামুল হকের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে খেলার সময় শিশু ইকরামকে গান শুনানোর কথা বলে পাশের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান রাজু আহমেদ। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ইকরামকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। পরে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং চিৎকার করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ইকরামকে প্রথমে চড়থাপ্পরও মারে রাজু এবং এক পর্যায়ে গলা টিপে হত্যা করে বস্তায় ভরে খাটের নিচে রেখে দেন। পরে লাশ বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে ফেলে দেয়।
জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: তরিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রতিবেশি ট্রাক ড্রাইভার রেজাউল ইসলাম (৪৫) ও তার ছেলে রাজু আহমেদকে (১২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় জিজ্ঞাসাবাদে রাজু বলাৎকারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গলা টিপে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। রাজুর বাড়ি থেকে ইকরামের রক্তমাখা জামা কাপড়, স্যান্ডেল উদ্ধার করে পুলিশ।
এনামুল হক বলেন, ইকরাম বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে অন্য ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। সন্ধ্যার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই।
পুলিশ জানায়, বাদী হয়ে ট্রাক চালক রেজাউল ইসলাম ও তার ছেলে রাজু আহমেদকে আসামি করে জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।