গত শনিবার লাদাখের অ্যাকচুয়াল লাইন অফ কন্ট্রোল নিয়ে বিবাদ মেটাতে ভারত ও চীনের মধ্যে শীর্ষ সেনা বৈঠক হয়। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা চলছে। কিন্তু বৈঠকের কয়েকঘন্টার মধ্যেই আবারো কয়েক হাজার সেনা সমাবেশ ঘটাল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। প্যারাট্রুপ করেই দুর্গম ওই সমস্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ করেছে চীন। প্রয়োজনে যাতে ভারী সামরিক যান ও ট্যাঙ্ক ওই এলাকায় পাঠানো যায় সেটা পরীক্ষা করতেই এই সেনা মহড়া বলে দাবি করেছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, গতকাল রবিবার ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় এই সেনা মহড়া চালিয়েছে পিএলএ। যাতে প্রয়োজন পড়লেই দ্রুত সীমান্ত এলাকায় ভারী যানবাহনসহ বিশাল সেনা জওয়ান পৌঁছে যেতে পারে সেটা দেখে নিতেই এই মহড়া। তবে কোন কোন এলাকায় চীন এই সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
অপরদিকে, ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে আরও আলোচনা চলবে। দ্রুত এই সমস্যা মিটবে না বলেই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
চীনা সংবাদমাধ্যম বলছে, ওইদিনের সামরিক মহড়ায় বেসামরিক বিমান সংস্থা, বাণিজ্যিক পরিবহন ব্যবস্থা ও রেলের সাহায্যে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে পিএলএ বিমানবাহিনীর কয়েক হাজার প্যারাট্রুপারকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে দেশের উত্তর-পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের কোনো অজ্ঞাত গন্তব্যে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গেই পাঠানো হয়েছে ট্যাঙ্ক, ভারী সশস্ত্র সামরিক যান এবং বিপুল পরিমাণে সামরিক রেশন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই বিশাল বাহিনী ও সরঞ্জাম গন্তব্যে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে সিসিটিভি চ্যানেল।
এর আগে ১৪ মে লাদাখে একই রকম সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছিল বেইজিং। তখন থেকে সীমান্ত নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ফের প্রকাশ্যে আসে।
গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে গ্লোবাল টাইমস জানায়, সীমান্ত অতিক্রম করে রাতের অন্ধকারে শত্রুশিবিরে অতর্কিতে হানা দেয়ার উদ্দেশ্যে ৪৭০০ মিটার উচ্চতায় বাহিনী পাঠিয়েছে পিএলএলের তিব্বত সামরিক ঘাঁটি। সবমিলিয়ে ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ ঘিরে রীতিমতো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।