১৯৬২’র যুদ্ধের সময়ও যে জায়গাগুলিতে ভারত ও চীনের লড়াই বড় আকার ধারণ করেছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম গালওয়ান উপত্যকা। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার গালওয়ানে সার্বভৌমত্বের দাবি করছে চীন।
আকসাই চীন এলাকা থেকে লাদাখ ঘিরে বয়ে চলা প্রাচীন গালওয়ান নদী উপত্যকা অঞ্চলই ভারত ও চীনের চলতি সংঘাতের কারণ হয়ে উঠেছে।
এই এলাকায় সেনা সংঘর্ষের পর গালওয়ান উপত্যকায় অবস্থান করে সার্বভৌমত্বের দাবি করতে দেখা গেল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পশ্চিম থিয়েটার কম্যান্ড ঝ্যাং শুইলিকে। তার দাবি দীর্ঘদিন থেকেই লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা চীনের অংশ।
পাশাপাশি গালওয়ানে বর্তমান সেনা সংঘর্ষের পিছনে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন তিনি। ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
ঝ্যাং শুইলির দাবি দাবি নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সোমবার রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনা। এর আগে সেনাপ্রধানদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তা ভারতীয় সেনা দল অমান্য করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
যদিও ভারতীয় সেনা জানায়, পারস্পরিক শান্তি চুক্তি মেনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা সরে আসতে থাকে ভারতীয় সেনা। সেই সময় অতর্কিতে আক্রমণ চালায় লালফৌজ। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাবও দেয় ভারতের সেনা জওয়ানরা।
ইতিমধ্যেই লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ভারতের একজন কমান্ডিং অফিসারসহ ২০ জন সেনা-জওয়ান। এদিকে একাধিক চীনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র অনুযায়ী চিনেরও প্রায় ৫ জন সেনা নিহত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।