স্পোর্টস ডেস্ক: ভারত থেকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই দেশে ফিরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। যে কারণে তাদের মধ্যে কোনও উপসর্গ না থাকলেও তাদের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে সুখবর হচ্ছে, সকলেরই টেস্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন, দলের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডঃ শুয়েব মাঞ্জরা।
প্রোটিয়ারা ভারত থেকে দেশে ফেরেন ১৮ মার্চ। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) তাদের ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশন শেষ হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে থাকতে হবে আগামী দুই সপ্তাহ। গোটা দেশেই চলছে লকডাউন। মাঞ্জরা ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, কোনও খেলোয়াড়দেরই উপসর্গ ছিল না। যাদের পরীক্ষা করা হয়েছিল তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
ভারতে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচ ছিল ধর্মশালায় ১২ মার্চ। তখনও করোনাভাইরাস এত ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেনি। কিন্তু সেই ম্যাচে একটিও বল খেলা সম্ভব হয়নি বৃষ্টির জন্য। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ১৫ ও ১৮ মার্চ লখনৌ ও কলকাতায়। কিন্তু সেই ম্যাচ বাতিল করে দক্ষিণ আফ্রিকা দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২১ দিনের দেশ জুড়ে লকডাউনের মধ্যেই দেশের উদ্দেশে উড়ে যায় প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। তার পরই বন্ধ হয়ে যায় বিমান চলাচলও। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের লক্ষ্য অবশ্যই ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য।
গৃহবন্দি থাকার সময় খেলোয়াড়রা নিজেদের কীভাবে ফিট রাখবেন সেই ব্যবস্থাও করে ফেলেছে বোর্ড। দলের ফিটনেস এবং ট্রেনার তুমি মাসেকেলা সবাইকে ট্রেনিং প্রোগ্রাম পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা এই সময় প্লেয়ারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। যাদের সামান্য চোট রয়েছে তাদের দেখার সময় পেয়েছি। ওরাও বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দৌঁড়নো যেটা অনেক বড় বিষয়, যা আগামী দু’সপ্তাহে তৈরি করার চেষ্টা করছি। তার মানে অনেক দৌঁড়, কার্ডিও ওয়ার্ক, সাইক্লিং আর সাঁতার। আগামী জুন পর্যন্ত কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। তবে এই পরিস্থিতিতে ফিটনেস ধরে রাখা খুব কঠিন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।