জুমবাংলা ডেস্ক : ভালোবেসে নেপাল থেকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় সংসার করতে এসেছেন সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের এক তরুণী।
সখীপুরে কাকাড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের প্রবাসী ছেলে নাজমুল হোসেনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ওই তরুণী। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সানজু কুমারীর পরিবর্তে তার নাম রাখা হয়েছে খাদিজা আক্তার।
প্রায় চার বছর ধরে মালয়শিয়া একটি কম্পানিতে কাজ করার সুবাদে একে অপরের সঙ্গে পরিচয় ও তাদের মধ্যে ভালোবাসা হয়। গত ৩১ ফেব্রুয়ারি নেপাল থেকে নাজমুলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। এ সংবাদ পেয়ে তাদের দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঙালী তরুণীর মতো পোশাক পরে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করছেন ওই নেপালি তরুণী। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সানজু কুমারী থেকে তার নাম রাখা হয় খাদিজা আক্তার। তিনি বাঙালী আচার-আচারণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলেও ভাষাগত কিছু সমস্যা আছে।
মেয়েটি বাংলা ভাষা বোঝে কিন্তু বলতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে জানায় নাজমুল।
নেপালি আদালতেও তাদের বিয়ে হয়। তারপর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কোর্ট মেরেজ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্টার দিয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। নেপালের কাঠমুন্ডু শহরেই মেয়েটির বাড়ি সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে নাজমুলের হাত ধরে বাংলাদেশে আসে।
খাদিজা আক্তারের নেপালি ভাষার অনুবাদ করে নাজমুল বলেন, বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাবো না।
নাজমুল ইসলাম বলেন, একটি হিন্দু মেয়ে আমাকে ভালোবেসে মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করেছে এবং দেশ ত্যগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।
নাজমুলের বাবা হুময়ন মিয়া বলেন, ছেলের বউ দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।