জুমবাংলা ডেস্ক: নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্প দেখানোর জন্য ৪০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলকে আজ সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিস সূত্রে জানা গেছে।
আরআরআরসি মাহবুব আলম তালুকদার জানান, প্রতিনিধিদলে কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি, মাঝি ও মসজিদের ইমামরা থাকছেন। তাঁরা সরেজমিন ভাসানচর আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। তাঁরা সেখানে থাকা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানবেন এবং কক্সবাজার ফিরে রোহিঙ্গাদের কাছে সেখানকার অবস্থা বর্ণনা করবেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যদের প্রথমে কক্সবাজার থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর নৌবাহিনীর জাহাজযোগে তাঁদের ভাসানচরে পাঠানো হবে।
বঙ্গোপসাগরের ভাসানচরে সরকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করেছে, যাতে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারবে। আবাসন প্রকল্প ঘিরে প্রায় ১৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১২০টি সাইক্লোন শেল্টার, প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও চিকিৎসা অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও জাতিসংঘের সম্মতি না থাকায় রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে কক্সবাজারের ঘিঞ্জি শরণার্থীশিবিরের পরিবর্তে খোলামেলা স্থানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে সরকার। সংস্থাগুলো সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং স্বেচ্ছায় স্থানান্তরের শর্ত আরোপ করেছে। বর্তমানে ৩০৩ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছে, যাদের বিভিন্ন সময় সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করেছে।
এদিকে বর্তমানে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে কমপক্ষে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি ক্যাম্পে তারা নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীচক্র সেখানে অধিপত্য বিস্তার করছে। এসব কারণে রোহিঙ্গাদের তুলনামূলক ভালো আবাসনে স্থানান্তর প্রয়োজন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গারা রাজি হলে যেকোনো সময় তাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আরআরআরসি মাহবুবুল আলম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।